আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
সপ্তাহজুড়ে প্রবল বর্ষণ ও তার ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে চীনের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ শাংজিতে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, নিখোঁজ আছেন আরও ৩ জন। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা সিনহুয়ার বরাত দিয়ে করা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের জাতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া।
চীনের কেন্দ্রীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শাংজি শাখার কর্মকর্তা ওয়াং কিরুই সিনহুয়াকে এ সম্পর্কে বলেন, ‘গত এক সপ্তাহের অতি বর্ষণে শাংজির প্রায় ১ হাজার ৯০০ টি ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে, ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরও প্রায় ১ হাজার ৮০০ ভবন।’
‘আমাদের হাতে থাকা তথ্য অনুযায়ী, বিধ্বংসী এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এখন পর্যন্ত শাংজিতে মারা গেছেন ১৫ জন, নিখোঁজ রয়েছেন ৩ জন। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’
প্রদেশটির অন্তত ১০ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ বন্যার কারণে ক্ষতির শিকার হয়েছেন বলে সিনহুয়াকে জানিয়েছেন ওয়াং।
চীনের পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, বন্যার কারণে শাংজির ডুবে যাওয়া সড়কগুলোতে গাড়ি, বাস প্রভৃতি যানবাহন স্থবির হয়ে আছে এবং ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা ছোট বাচ্চাদের কোলে বা কাঁধে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।
শাংজি চীনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কয়লাখনি অঞ্চল। প্রদেশটির বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৬০ টি কয়লাখনি আছে।
তবে অতিবৃষ্টি ও বন্যাজনিত কারণে বর্তমানে ৪ টি ব্যতীত বাকি সব খনি থেকে কয়লা উত্তোলন বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওয়াং কিরুই।
দেশটির কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, স্বাভাবিক অবস্থায় এক বছরে শাংজিতে গড়ে যে পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়, গত এক সপ্তাহে তার তিনগুণ বেশি বৃষ্টি হয়েছে প্রদেশটিতে।
মাত্র মাস তিনেক আগে নজিরবিহীন বর্ষণ ও এ জনিত কারণে বন্যার ফলে চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হেনান প্রদেশে মারা গিয়েছিলেন ৩০০ জন।
চীনের জলবায়ুবিদরা জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাবেই চীনে ঘন ঘন এমন দুর্যোগ দেখা যাচ্ছে।