লাইফস্টাইল ডেস্ক,
রসুন আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য নিঃসন্দেহে উপকারী। এক কথায় রসুনকে বলা হয় প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক। বিশেষজ্ঞরা বলেন, হার্টের নানা সমস্যা থেকে দূরে রাখে কাঁচা রসুন। নিয়মিত রসুন খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তচাপ। তবে আপনি জেনে হয়তো কিছুটা অবাক হবেন, প্রয়োজনের চেয়ে বেশি রসুন খাওয়া ক্ষতিকর। এদিকে আবার মহামারি করোনা শুরু হওয়ার পর রসুন খাওয়ার প্রচলন আরো বেড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, খালি পেটে কাঁচা রসুন খেলে বুক জ্বালাপোড়া, বমিভাব এমনকি বমিও হতে পারে। অতিরিক্ত রসুন খেলে হাইফিমা হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। এছাড়াও আইরিস ও কর্নিয়ার মাঝে রক্তক্ষরণ ঘটে। ফলে আপনার দৃষ্টিশক্তি হারানোরও ঝুঁকি বাড়তে পারে।
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, রসুনে থাকা কিছু উপাদান জিইআরডি বা গ্যাস্ট্রোয়েসোফাজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজের অন্যতম কারণ হতে পারে।
অতিরিক্ত রসুনের কিছু ক্ষতিকর দিক নিচে তুলে ধরা হল-
মাথা ঘোরানো: অতিরিক্ত রসুন খাওয়ার ফলে মাথা ঘোরানোর মতো সমস্যা হতে পারে। কারণ রসুন বেশি খাওয়ার ফলে কমে যেতে পারে রক্তচাপ। আর নিম্ন রক্তচাপের উপসর্গ হিসেবে দেখা দিতে পারে দুর্বলতা, মাথা ঘোরানো বমি বা বমিভাব।
গর্ভবতী নারীর জন্য ক্ষতিকর: গর্ভবতী নারীর জন্য রসুন খাওয়া অনিরাপদ। গর্ভাবস্থায় রসুন খেলে প্রসব বেদনা বাড়তে পারে। যেসব মা শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন তাদেরও রসুন খাওয়া ঠিক নয়, এতে দুধের স্বাদ বদলে যেতে পারে।
যকৃতের ক্ষতি: যকৃত আমাদের শরীরের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে। এটি চর্বি ও প্রোটিনের বিপাক, রক্ত পরিশোধন, শরীর থেকে অ্যামোনিয়া অপসারণ ইত্যাদি কাজ করে থাকে। অতিরিক্ত রসুন খেলে এতে থাকা অ্যালিসিন নামক উপাদান যকৃতে বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে।
ডায়রিয়া: অতিরিক্ত রসুন খাওয়ার ফলে ডায়রিয়া হতে পারে। কারণ রসুনে সালফার রয়েছে যা পেটে গ্যাস তৈরি করে। ফলে হতে পারে ডায়রিয়া।
অতিরিক্ত ঘাম: বিভিন্ন ক্লিনিক্যাল স্টাডিতে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে রসুন খেতে থাকলে অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
দুর্গন্ধ: রসুনে সালফার থাকার কারণে মুখে দুর্গন্ধ হয়।
বিএসডি/এএ