অর্থনীতি ডেস্ক:
নানা কৌশলে প্রতিনিয়ত ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বিক্রি করছে বেশি দামে পণ্য। খাদ্য সংরক্ষণে মানা হচ্ছে না নিয়ম। নকল, ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধসহ বিক্রি হচ্ছে ভেজাল খাদ্য-পণ্য। এসব অপরাধ ঠেকাতে অভিযান পরিচালনা করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। অনিয়মের দায়ে জরিমানাসহ দেওয়া হচ্ছে আইন অনুযায়ী শাস্তি। সেই সঙ্গে ভোক্তার অভিযোগও নিষ্পত্তি করছে অধিদফতর।
অধিদফতর প্রতিষ্ঠার পর থেকে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে অভিযান পরিচালনা করে ভোক্তা স্বার্থ-বিরোধী নানা অনিয়মের দায়ে ১ লাখ ৭ হাজার ৩৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৩ কোটি ৩৯ লাখ ১৩ হাজার ২৪২ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সময়ে প্রাপ্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি করে ৭ হাজার ১০টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ কোটি ৮৮ লাখ ৬ হাজার ৮ টাকা জরিমানা করা হয়। সব মিলে ১ লাখ ১৪ হাজার ৪৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৮ কোটি ২৭ লাখ ১৯ হাজার ২৫০ টাকা জরিমানা করে অর্থ আদায় করে অধিদফতর।
২০০৯ সালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন করা হয়েছিল। ভোক্তা অধিকার-বিরোধী কাজের বিরুদ্ধে এ আইন অনুসারে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে অভিযোগ করা যায়। তদন্তের পর অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এর মধ্যে আছে জরিমানা বা কারাদণ্ডের বিধান। জরিমানা হলে ভোক্তাকে মোট জরিমানার ২৫ শতাংশ পুরস্কার হিসাবে তাৎক্ষণিকভাবে দেওয়া হয়।
অধিদফতর প্রতিষ্ঠার পর থেকে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দাফতরিকভাবে নিষ্পত্তি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রণোদনা হিসেবে ৬ হাজার ৯২০ জন অভিযোগকারীকে ১ কোটি ২০ লাখ ২৯ হাজার ৫০২ টাকা পুরস্কার হিসাবে দেওয়া হয়।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ২৩তম সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। ২৯ সদস্য বিশিষ্ট পরিষদের সভায় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বিমা ব্যক্তিত্ব শেখ কবির হোসেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কাজী আকরাম উদ্দীন আহমেদ, মিসেস প্রীতি চক্রবর্তী প্রমুখ।
সভায় বাণিজ্যমন্ত্রী করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট মহামারিকালে ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষা, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ, বাজারজাতকরণ ও দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে নিরলস কাজ করার জন্য জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সকল স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীকে প্রশংসা করেন। এ কাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।
বিএসডি/আইপি