নরসিংদী প্রতিনিধি :
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার রাস্তাঘাটে বের হলেই দেখা যায়, অশ্লীল পোস্টার। বিশেষ করে সিনেমা হলের অশ্লীল পোস্টার সর্বত্র দেখা যায়। নরসিংদীর রায়পুরার আমিরগন্জ ইউনিয়নের হাসনাবাদ এলাকায় ছন্দা সিনেমা হাসনাবাদ হলের বাহিরে ও রাস্তার পাশে অশ্লীল এবং কুরুচিপূর্ণ পোস্টারিংয়ের ফলে বিব্রত আশপাশের শিক্ষার্থীসহ পথচারী এবং স্হানীয়রা।
স্হানীয়দের অভিযোগ, যাতায়াতের সময় চোখের সামনে অশ্লীল পোস্টারগুলো পড়লে সন্তানদের সামনে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন পথচারী জানান, প্রতিনিয়ত এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। ফলে প্রতিনিয়তই ওই পোস্টারগুলি সম্মুখীন হতে হয়। আমাদের সন্তানেরা তরুণ ছেলে মেয়েরা এই পোস্টারগুলা দেখে পজিটিভ কিছু নিতে পারবে কি? তাদের মনে ছোট থেকেই বাংলা সিনেমা নিয়ে একটা সন্দেহ থেকে যাবে যে বাংলা সিনেমা মানেই এসব অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ দৃশ্য। যার ফলে তারা আস্তে আস্তে বাংলা বিনোদন থেকে দূরে সরে যাবে। তরুণদের মাঝে অশ্লীলতার মনোভাব ছড়িয়ে যাওয়ার প্রবণতা আরও পেতে পারে।
হাসনাবাদ ছন্দা সিনেমা হলের ম্যানেজার শাওন বলেন, এই পোস্টারগুলা সিনেমার ডিস্টিবিউটরদের করা। আমরা পোস্টারিং করি না। এর মধ্যে ভালো-মন্দ পোস্টার আসে। তাই লাগাতে হয়। তারা যদি এই ধরনের পোস্টার প্রদান করে তাহলে আমাদের কি করার আছে।
পোষ্টারে যে রকম দেখাচ্ছে সিনেমাতে এই রকম কোনো কিছু নেই। দর্শক খুবই কম আসে। এক এক শো-তে তরুণ তরুণী বৃদ্ধ ১০-১৫ জন হয় যা একেবারেই পোষায় না। এ বিষয়ে মালিক বলতে পারবে আমি কিছু জানিনা।
ছন্দা সিনেমা হাসনাবাদ হলের মালিককে একাধিক বার মুঠোফোনে কল দিলেও ধরেননি।
আমিরগন্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কেএম ফজলুল করিম জানান, বিষয়টি খুবই দুঃখ জনক। খোঁজ খবর নিয়ে অশ্লীল পোস্টার গুলো সড়ানোর জন্য এখনি বলে দিচ্ছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মো আজগর হোসেন বলেন, অশ্লীল পোস্টারের প্রভাবে স্কুলের শিক্ষার্থী, যারা আমাদের আগামী দিনের ভবিষ্যৎ; তারাও অশ্লীলতার দিকে ঝুঁকে পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে অকালে। এসবকে সংস্কৃতি হিসেবে মানে অনেকেই। তা থেকে দ্রুত পরিত্রাণ পেতে সংসৃষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করি।
বিএসডি/ এলএল