আন্তজার্তিক ডেস্ক:
মধ্য ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়ায় চ্যান্সেলরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সেবাস্টিয়ান কুর্জ। দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধে সরকারের তদন্ত শুরুর পর জোট সরকার বাঁচাতে সিদ্ধান্তটি নেন তিনি। রবিবার (১০ অক্টোবর) প্রতিবেদন প্রকাশের মাধ্যমে ব্রিটিশ মিডিয়া বিবিসি নিউজ, কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা ও যুক্তরাজ্যের বার্তা সংস্থা রয়টার্স তথ্য জানিয়েছে।
এ দিকে পদত্যাগের পর চ্যান্সেলরের দায়িত্ব গ্রহণের জন্য অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেক্সান্ডার স্ক্যালেনবার্গের নাম প্রস্তাব করেছেন সেবাস্টিয়ান কুর্জ।
বিবিসি নিউজ বলছে, অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কুর্জের দল কনজারভেটিভ ওভিপি পিপলস পার্টির সঙ্গে সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি স্থানে সম্প্রতি অভিযান চালায় দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। মূলত এরপরই চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কুর্জসহ আরও নয়জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত শুরু হয়।
সেবাস্টিয়ান কুর্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ- তিনি সরকারি অর্থ ব্যবহার করে অস্ট্রিয়ার একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকায় নিজের সম্পর্কে ইতিবাচক সংবাদ প্রকাশ নিশ্চিত করেছিলেন। যদিও এই অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করেছেন সেবাস্টিয়ান কুর্জ।
অপর দিকে দুর্নীতির এসব অভিযোগ সামনে আসার পরই অস্ট্রিয়ার ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ ওভিপি পিপলস পার্টির জোটসঙ্গী গ্রিন পার্টি অনেকটা বেকে বসে। দলটি বলছে, সেবাস্টিয়ান কুর্জ এরই মধ্যে অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব পালনের যোগ্যতা হারিয়েছেন। আর এর পরপরই সেবাস্টিয়ান কুর্জের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার কার্যত ভাঙনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়।
বিশ্লেষকদের মতে, সংকটময় এই পরিস্থিতিতে আগামী সপ্তাহে পার্লামেন্টে সেবাস্টিয়ান কুর্জের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোট আনতে বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করে গ্রিন পার্টি। পরবর্তীকালে জোট বাঁচাতে এক রকম বাধ্য হয়েই পদত্যাগ করেন সেবাস্টিয়ান কুর্জ।
এ দিকে চ্যান্সেলর পদ থেকে সেবাস্টিয়ান কুর্জের পদত্যাগকে স্বাগত জানিয়েছেন গ্রিন পার্টির নেতা ও অস্ট্রিয়ার ভাইস চ্যান্সেলর ওয়ারনার কোগলার। একই সঙ্গে আলেক্সান্ডার স্ক্যালেনবার্গ নতুন চ্যান্সেলর হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করলে তার সঙ্গে কাজ করার ইঙ্গিতও জানিয়েছেন তিনি। কোগলার দাবি করেছেন, আলেক্সান্ডার স্ক্যালেনবার্গের সঙ্গে তার ‘খুবই গঠনমূলক’ সম্পর্ক রয়েছে।
পদত্যাগের পর চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কুর্জ জানিয়েছেন, দেশে এখন স্থিতিশীলতা দরকার। সংকট নিরসনে এবং বিশৃঙ্খলা এড়াতে আমি সরে দাঁড়িয়েছি।
উল্লেখ্য, অবশ্য চ্যান্সেলর পদ থেকে পদত্যাগ করলেও নিজ দল কনজারভেটিভ ওভিপি পিপলস পার্টির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যাবেন তিনি। একই সঙ্গে পার্লামেন্ট সদস্য হিসেবেও দায়িত্বপালন অব্যাহত রাখবেন তিনি।
বিএসডি /আইপি