স্পোর্টস ডেস্ক:
তিন বছরে তিন ফরম্যাটের বিশ্বকাপ ফাইনালে নিউ জিল্যান্ড। ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল আথারটন বলছেন, এই মুহূর্তে সব ফরম্যাটের সেরা দল এই ব্ল্যাক ক্যাপরা।
২০১৯ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালের পর এই বছর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও শিরোপা নির্ধারণীর লড়াইয়ে উঠেছিল তারা। সুপার ওভারের বিতর্কিত আইনের গ্যাড়াকলে পড়ে দুই বছর আগে লর্ডসে ইংল্যান্ডের কাছে শিরোপা হারায় কেন উইলিয়ামসনের দল। তবে গত জুনে ভারতকে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে হারিয়ে হারিয়ে প্রথম বৈশ্বিক শিরোপার স্বাদ পায়। একই ধারাবাহিকতায় তারা উঠেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে। আগামী ১৪ নভেম্বর দুবাইয়ে তাদের বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী লড়াই নিশ্চিত করেছে অস্ট্রেলিয়া।
গ্রুপের ওই খেলায় ট্রেন্ট বোল্ট আগুন ঝরান বল হাতে। ১০ ওভারে ২৭ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। এছাড়া টিম সাউদি ও ড্যানিয়েল ভেট্টরি দুটি করে উইকেট পান।
এর আগে পরে ব্যাট হাতে মার্টিন গাপটিল শো, আর বোলিংয়ে দুই দলের বোল্ট ও স্টার্ক ছিলেন অনবদ্য। তিনজনই ছিলেন ব্যাটসম্যান ও বোলার তালিকায় শীর্ষে। নিউ জিল্যান্ডের ওপেনার গাপটিল ২ সেঞ্চুরি ও এক হাফ সেঞ্চুরিতে ৯ ম্যাচ শেষ করেন ৫৪৭ রান নিয়ে। আর যৌথভাবে শীর্ষে ছিলেন ২২ উইকেট নেওয়া স্টার্ক ও বোল্ট।
ঘুরেফিরে দুই দলের দেখা হয়ে যায় ফাইনালে। মেলবোর্নে ২৯ মার্চ মুখোমুখি তারা। এবার ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার দোর্দণ্ড প্রতাপ। মিচেল জনসন ও জেমস ফকনারের বোলিংয়ে কোনোমতে ১৮৩ রান করেছিল সেদিন নিউ জিল্যান্ড। তিনটি করে উইকেট নেন দুই পেসার।
প্রথম কোনো ফরম্যাটের বিশ্বকাপ ফাইনালে দাপট দেখিয়ে উঠলেও বেদনাবিধুর হয় নিউ জিল্যান্ডের হৃদয়। তবে আগমণী বার্তা যেন দিয়ে রেখেছিল কিউইরা। ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় ফাইনালে উঠেছিল। এবার যেন হৃদয়ে রক্তক্ষরণ। ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে সেই হারের যন্ত্রণা এবার নিউ জিল্যান্ড লাঘব করেছে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৫ উইকেটের দারুণ জয়ে। বদলা নিয়ে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে। প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের মতো তারাও কি নিউ জিল্যান্ডের প্রতিশোধের আগুনে পুড়বে?
বিএসডি/এসএসএ