আইসিসির ছেলেদের বিভাগে মে মাসের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম। মেয়েদের বিভাগে সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন স্কটল্যান্ডের ক্যাথরিন ব্রিজ।
এর আগে মে মাসে আইসিসির সেরা ক্রিকেটার হওয়ার দৌড়ে মুশফিকের সঙ্গে লড়াইয়ে ছিলেন আরও দুজন—পাকিস্তানের হাসান আলী ও শ্রীলঙ্কার প্রভিন জয়াবিক্রমা। ভোটাভুটিতে এ দুজনকে পেছনে ফেলে মে মাসের সেরা খেলোয়াড় হলেন মুশফিক। আজ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আইসিসি।
মে মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন মুশফিক। প্রথম ম্যাচে ৮৪ রানের পর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে করেন ১২৫ রান।
তৃতীয় ওয়ানডেতে খুব একটা ভালো করতে পারেননি। ২৮ রানে আউট হন। কিন্তু সব মিলিয়ে ২৩৭ রান নিয়ে সিরিজের সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন তিনিই। অসাধারণ এ পারফরম্যান্সের সুবাদে চলতি মাসের শুরুতেই জানা গিয়েছিল, আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটার নির্বাচনে যে ভোটাভুটি হয়, সেটার সংক্ষিপ্ত তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন মুশফিক।
আইসিসির ভোটিং একাডেমির প্রতিনিধি ও ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান ভিভিএস লক্ষ্মণ বলেন, ‘সর্বোচ্চ পর্যায়ে ১৫ বছর খেলার পরও মুশফিকুর রহিমের রান–খিদে একটুও কমেনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজে তিনি নিজের সেরা ফর্মে ছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে ১২৫ রানের ইনিংসটি ছিল ধারাবাহিকতার ছবি, যা বাংলাদেশকে ২-০ ব্যবধানে তিন ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে যেতে সহায়তা করে। তাঁর ইনিংসটি আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ হওয়ার কারণ হলো ১৯৯৬ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে এটি ছিল বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডে সিরিজ জয়। মিডল অর্ডার আগলে রেখে তাঁর দাপুটে উইকেটকিপিং ফিটনেস ও দক্ষতার প্রমাণ দেয়।’
পাকিস্তানের পেসার হাসান আলী জিম্বাবুয়ে সফরে দুই টেস্টে নেন ১৪ উইকেট। দুটি টেস্টই পাকিস্তান হারারেতে খেলেছে। প্রথম টেস্টে নেন ৯ উইকেট। দ্বিতীয় ম্যাচে পান ৫ উইকেট। শ্রীলঙ্কার পেসার জয়াবিক্রমা পাল্লেকেলেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই টেস্টে নেন ১১ উইকেট (৬ ও ৫)। সেই সিরিজেই তাঁর টেস্ট অভিষেক হয়।
নারী ক্রিকেটারদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় স্কটল্যান্ডের অলরাউন্ডার ব্রিজের সঙ্গে ছিলেন আয়ারল্যান্ডের গ্যাবি লুইস ও লিয়া পল। পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করে প্রতি মাসের সংক্ষিপ্ত তালিকাটা আইসিসিই করে দেয়। সেই তালিকা থেকে দুই বিভাগের সেরা দুজন নির্বাচন করেন আইসিসির স্বাধীন ভোটিং একাডেমি ও ক্রিকেটভক্তরা।
ক্রিকেট খেলুড়ে দেশগুলোর সাবেক ক্রিকেটার, অভিজ্ঞ সাংবাদিক, ধারাভাষ্যকার ও আইসিসি হল অব ফেমে জায়গা পাওয়া কিছু ক্রিকেটার আছেন আইসিসির ভোটিং একাডেমিতে। আছেন সহযোগী সদস্যদেশের দুজনও। খেলোয়াড় নির্বাচনে ভোটিং একাডেমির সদস্যদের ভোটের গুরুত্বই বেশি। ই-মেইলে ভোট দেন সদস্যরা।
চূড়ান্ত ভোটের হিসাবের ৯০ শতাংশই নেওয়া হয় ভোটিং একাডেমি থেকে। বাকি ১০ শতাংশের হিসাব আসে সমর্থকদের অনলাইন ভোট থেকে।