ক্রীড়া ডেস্ক,
চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বসবে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। এবার ভারতের তত্ত্বাবধানে বিশ্বকাপ হবে মধ্যপ্রাচ্যের দুই দেশ ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে।
বিশ্বকাপের মূল পর্ব খেলতে হলে আগে প্রথম পর্ব টপকাতে হবে বাংলাদেশ দলকে। যেখানে খেলতে হবে স্কটল্যান্ড, পাপুয়া নিউগিনি ও ওমানের সঙ্গে। প্রথম পর্ব টপকালে সুপার টুয়েলভের টিকিট পাবে টাইগাররা। তবে এসব আয়োজনের আগে আগামী ১০ সেপ্টম্বরের মধ্যে ১৫ সদস্যের স্কোয়াড দিতে হবে অংশ নিতে যাওয়া দলগুলোকে।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসি জানিয়েছে, বিশ্বকাপ দল ১৫ সদস্যের বেশি হওয়া যাবে না। সাপোর্টিং স্টাফ আর টিম ম্যানেজমেন্ট মিলিয়ে সংখ্যাটা হবে সর্বোচ্চ ২৩ জনের। করোনাকালীন সময়ে ১৫ সদস্যের স্কোয়াড নিয়ে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। তার সঙ্গে প্রথম পর্বে বাড়তি ম্যাচ খেলতে হবে টাইগারদের। সবে মিলিয়ে ক্লান্তি আর ইনজুরির শঙ্কা ভাবাচ্ছে। আইসিসির এমন সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি নয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
আজ (রবিবার) ১৫ আগস্টের শোক কর্মসূচি শেষে মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বোর্ডের মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘অবশ্যই কম, আমার মনে হয়। মহামারীর কারণে তাদের অন্য নিয়ম থাকা উচিৎ ছিল, ব্যাকআপ খেলোয়াড় নেওয়ার নিয়ম রাখা উচিৎ ছিল।’
আইসিসি জানিয়েছে, ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে বাইয়ে বাড়তি খেলোয়াড় রাখতে গেলে সে খরচ বহন করতে হবে বোর্ডগুলোকে। বিসিবির ভাবনা, বাড়তি অর্থ গুনতে হলেও ঝুঁকি নেবে না। অতিরিক্ত খেলোয়াড় নিয়েই বিশ্বকাপে যাবে বাংলাদেশ দল।
জালাল ইউনুস বললেন, ‘বাড়তি খেলোয়াড় নিলে নিজ নিজ খরচে নিতে হবে। সেটা করতে হচ্ছে। মহামারীর জন্য আরও ১-২ বছর দেখা উচিৎ এবং স্কোয়াড আরও বড় রাখা হলে ভালো হতো। তবে সুযোগ আছে, আপনি নিজের খরচে নিয়ে যেতে পারবেন।’
বিএসডি/আইপি