নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেছেন, আগের নির্বাচনে কীভাবে কী হয়েছে তা মন থেকে ডিলিট করে দেন, আমিও ডিলিট করে দিয়েছি। এবার যে নির্বাচন হবে সেটা সম্পর্কে মাথায় নতুন মেমোরি সেট করে নিন, আমিও নিয়েছি। এবারের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক বলতে যা বোঝায় তাই হবে।
সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে নিজ সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে দায়িত্বপ্রাপ্ত গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নীতিমালা অবহিতকরণ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, জেলার ছয়টি আসনে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে নির্ভয়ে সাংবাদিকরা দায়িত্ব পালন করবেন। আজকে আপনাদের সঙ্গে আমরা নীতিমালা নিয়ে আলোচনা করছি। যাদের সঠিক কাগজপত্র থাকবে তারাই নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহ করতে পারবেন। কোনো রাজনৈতিক কর্মী সাংবাদিক কার্ড পাবে না। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা বদ্ধপরিকর।
তিনি আরও বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী আপনারা দায়িত্ব পালন করবেন। গোপন কক্ষের কোনো ছবি ভিডিও ধারণ করা যাবে না। এ ছাড়া গোপন কক্ষ থেকে কোনো লাইভ করা যাবে না। ভোটকেন্দ্র নিরাপদ রাখার জন্য সকল পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব, পুলিশসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, অনেকে বলেছেন পুলিশ সদস্যদের আচরণ বিধির বিষয়ে। আমাদের পুলিশকে সঠিকভাবে ব্রিফ করে দেব, এই বিষয়ে আমরা সচেতন। আমি আমার পুলিশ সদস্যদের আচরণবিধির বিষয়ে অবগত করবো। আপনারা ভালো একটি নির্বাচন উপহার পাবেন। আমার কাছ থেকে নিশ্চিত থাকেন শতভাগ সহযোগিতা পাবেন।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাজিমুল হায়দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নোয়াখালী জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মেজবাহ উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না মাহমুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) বিজয়া সেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অপস) মোহাম্মদ ইব্রাহীম, জেলায় কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিএসডি / এলএম