লাইফস্টাইল ডেস্ক,
আচারের নাম শুনলেই জিভে পানি চলে আসে। বর্ষাকালে সবচেয়ে বেশি মৌসুমী ফল পাওয়া যায়। এ সময়টাতে অনেকেই দেশি ফলের আচার তৈরি করে থাকেন বছরের অন্যান্য সময়ের জন্য। শীতের দুপুরে রোদে বসে হোক কিংবা বিকেলের আড্ডায় আচার খাওয়ার মজাই আলাদা।
আম, তেঁতুল, লেবু, চালতা, জলপাই, কামরাঙ্গা, রসুন, মরিচ মিক্সড নানান স্বাদের আচার যেন মুখে স্বাদ ফেরায়। তবে সারা বছরের জন্য বানানো আচার ভালো রাখাটাই চিন্তার বিষয়। শীতকালে ভালো থাকলেও বর্ষা আসতে না আসতেই আচারে ফাঙ্গাস লেগে তা নষ্ট হয়ে যায়। বিশেষ করে লেবু, তেঁতুলের মতো টক জাতীয় আচার দ্রুত নষ্ট হয়। জেনে নিন আচর ভালো রাখার কিছু টিপস।
-
- আচার বানানোর সময় মূল উপকরণ ও আচার রাখার পাত্র ভালো করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে ব্যবহার করুন। পাত্রে পানি লেগে থাকলে আচার নষ্ট হয়ে যায়।
-
- বানানো আচার সর্বদা কাঁচের পাত্রে রাখুন। প্লাস্টিকের পাত্রে আচার দ্রুত নষ্ট হয়।
-
- আচার দীর্ঘদিন ভালো রাখার জন্য বেশি করে তেল দিন। যাতে বয়ামে আচারের ওপর তেলের একটা আস্তরণ থাকে। তেল বাইরের ব্যাকটেরিয়া বাতাস ঢুকতে বাধা দেয়।
-
- আচার বানানোর পর প্রতিদিন নিয়ম করে ১-২ ঘন্টা রোদে দিন। এতে আচার অনেকদিন ভালো রাখা যায়।
-
- আচার বানানোর সময় পরিমাণমতো লবণ দেওয়া খুব প্রয়োজন। কারণ লবণ প্রিজারভেটিভ হিসাবে কাজ করে। সঠিক পরিমানে লবণ আচারে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে দেয় না। এছাড়া হলুদ, মেথি পাউডার, হিংও ভালো প্রিজারভেটিভ হিসাবে কাজ করে।
-
- আচার বানানোর সময় লোহার খুন্তি ব্যবহার করার চেয়ে কাঠের খুন্তি ব্যবহার করুন। কারণ, কাঠের খুন্তি ব্যবহার করলে আচার সহজে নষ্ট হয় না।
-
- প্রতিদিনের ব্যবহৃত আচার একটা ছোট পাত্রে রাখুন। বাকি আচার বড় বয়ামে রাখতে পারেন। এর ফলে বার বার আচারের জার খোলা না হলে অনেক দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।
-
- এছাড়াও আচার খাওয়ার সময় হাত লাগিয়ে এঁটো করবেন না। একটা শুকনো চামচ দিয়ে তুলে নিলে আচার ভালো থাকে।
বিএসডি/এএ