নিজস্ব প্রতিবেদক
আজ সেই প্রলয়ঙ্করী ১৫ নভেম্বর। ২০০৭ সালের এই রাতে শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াল সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ও ঘূর্ণিঝড় ‘সিডরের’ আঘাতে উপকূলীয় অঞ্চল লন্ডভন্ড হয়ে যায়। শত শত মানুষ, গবাদি পশু ও বন্যপ্রাণীর জীবন প্রদীপ নিভে যায়। নিখোঁজ হয় বহু মানুষ।
দুর্যোগের আগের দিনও যে জনপদ ছিল মানুষের কোলাহলে মুখরিত, প্রাণচাঞ্চল্য ছিল শিশু কিশোরদের, মাঠজুড়ে ছিল কাঁচা-পাকা সোনালি ধানের সমারোহ। পর দিনই সেই জনপদ পরিণত হয় মৃতের ভাগাড়ে। ১১ বছর পর সেই স্মৃতি নিয়ে এখনো সেখানকার মানুষ বেঁচে আছেন। তাদের অধিকাংশই হারিয়েছেন স্বজন।
সেদিন মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয় দক্ষিণাঞ্চলের ৩০ জেলার দুই শতাধিক উপজেলা। বিধ্বস্ত হয় ৬ লাখ মানুষের বসতবাড়ি, ফসলের ক্ষেত।
ভয়াবহ বিপর্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় সড়ক, নৌ, বিদ্যুৎ এবং টেলিযোগাযোগসহ আধুনিক সভ্যতার সার্বিক অবকাঠামো। সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে প্রকৃতির এ ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র দেখে শিউরে ওঠে গোটা বিশ্ব। সাহায্যের হাত বাড়ায় দেশি-বিদেশিরা। সময়ের আবর্তনে বছর ঘুরে ঘুরে এসেছে সেই দিন। স্মৃতিচারণে চাপা কান্না আর দীর্ঘশ্বাস নিয়ে হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের উদ্দেশে বহু জায়গায় আয়োজন করা হবে দোয়া ও মোনাজাতের।
১৫ নভেস্বর সিডরে স্বজন হারা উপকূলের মানুষেরা মিলাদ মাহফিল, দোয়া মোনাজাত, কোরআনখানি ও নানাবিধ পারিবারিক আয়োজনে দিনটিকে স্মরণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।