আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
তালেবানের অভিযানের মুখে কাবুল সরকারের আকস্মিক পতনের জন্য আফগান নাগরিকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় তিনি এই ক্ষমা প্রার্থনা করেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
গত মাসের মাঝামাঝি সময়ে তালেবানের সামরিক অভিযানের মুখে রাজধানী কাবুল থেকে বিমানে করে বিদেশে পালিয়ে যান আশরাফ গনি। পরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানান তিনি। তবে তালেবানের হামলার মুখে দেশ ছেড়ে পালালেও সঙ্গে করে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার নেওয়ার অভিযোগটি আবারও প্রত্যাখ্যান করেছেন সাবেক এই আফগান প্রেসিডেন্ট।
বুধবার টুইটারে দেওয়া এক বিবৃতিতে আশরাফ গনি বলেন, তিনি তার নিরাপত্তা দলের অনুরোধে দেশত্যাগ করেন। নিরাপত্তা দলের পক্ষ থেকে তাকে জানানো হয়েছিল- তালেবানের আক্রমণের মুখে তিনি যদি কাবুলে অবস্থান করেন তাহলে ৯০-এর দশকের গৃহযুদ্ধের মতো ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
গনি দাবি করেন, ‘কাবুল ছেড়ে যাওয়া ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্ত। আমি বিশ্বাস করি, অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ রাখতে এবং কাবুলের ৬০ লাখ বাসিন্দাকে নিরাপদে রাখতে এটিই ছিল সেরা সিদ্ধান্ত।’
বার্তাসংস্থা রয়টার্স বলছে, আফগানিস্তান ছেড়ে আরব আমিরাতে আশ্রয় নেওয়ার পর প্রাথমিকভাবে গনি যে বক্তব্য দিয়েছিলেন, বুধবারের বিবৃতিতেও মূলত সেই কথাগুলোই প্রতিধ্বনিত হয়েছে। কাবুল থেকে পালানোর সময় বিপুল পরিমাণ অর্থ সাথে করে নেওয়ার অভিযোগ তিনি আবারও অস্বীকার করেন। এই অভিযোগকে তিনি ‘পুরোপুরি ও স্পষ্ট মিথ্যা’ বলেও দাবি করেন।
বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা থেকে আফগান প্রেসিডেন্ট হওয়া গনি বলেন, দুর্নীতি কয়েক দশক ধরে আমাদের দেশকে পঙ্গু করে রেখেছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বপালন করার সময়ও আমার মূল ফোকাস ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই।
তার দাবি, নিজেদের ব্যক্তিগত আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে তিনি ও তার লেবানিজ বংশোদ্ভূত স্ত্রী ‘খুবই সতর্ক’ ছিলেন।