আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আফগানিস্তানে গত আড়াই মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা মেয়েদের স্কুলগুলো ‘খুব দ্রুত’ খুলে দেওয়া হবে। জাতিসংঘভিত্তিক সংস্থা ইউনিসেফের উপ-নির্বাহী পরিচালক ওরম এবদি নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদরদফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা জানান, গত সপ্তাহে আফগানিস্তান সফরে গিয়েছিলেন তিনি।
ওমর এবদি বলেন, ‘আমি আফগানিস্তানে অবস্থান করার সময়েই দেশটির ৫ প্রদেশ- বালখ, জৌজান, সামানগান, কুন্দুজ ও উরুজগানে মেয়েদের মাধ্যমিক স্কুলগুলো খুলে দিয়েছে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার।’
‘দেশটির শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। তিনি বলেছেন- আফগানিস্তানে মেয়েদের মাধ্যমিক স্কুলগুলো পরিচালনা বিষয়ক একটি ‘ফ্রেমওয়ার্ক’ আফগান সরকার তৈরি করছে। আগামী এক কিংবা দু মাসের মধ্যে এটি শেষ হবে এবং তারপরই দেশের সবগুলো মেয়ে স্কুল খুলে দেওয়া হবে।’
গত ১৫ আগস্ট তালেবান বাহিনী কাবুল দখলের পর কো-এডুকেশন স্কুলগুলোর পাশাপাশি মেয়েদের স্কুলগুলোও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ফলে ব্যাপক অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়ে দেশটির নারীশিক্ষা ব্যবস্থায়।
আদর্শগতভাবে তালেবানগোষ্ঠী নারীশিক্ষা ও সমাজে নারীর ক্ষমতায়নের বিরোধী। ১৯৯৬ সালে যখন তালেবানগোষ্ঠী প্রথমবার আফগানিস্তানে সরকার গঠন করেছিল, তখনও বন্ধ করা হয়েছিল মেয়েদের সব মাধ্যমিক স্কুল।
সাংবাদিকদের ইউনিসেফের উপ-নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘গত টানা ২৭ দিন ধরে আফগানিস্তানে বন্ধ আছে মেয়েদের স্কুলগুলো। অর্থাৎ, প্রায় এক মাস ধরে পড়াশোনা করতে পারছে না আফগান কিশোরীরা।’
‘আমরা বলেছি, যতদ্রুত সম্ভব যেন স্কুলগুলো ফের চালু করা হয়। কারণ এর সঙ্গে লাখ লাখ আফগান কিশোরীর ভবিষ্যত সম্পর্কিত।’
তালেবান দখলের পর থেকে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি বেশ শোচনীয় বলেও সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন এবদি।
তিনি বলেন, ‘তালেবান বাহিনী দেশ দখলের আগে থেকেই আফগানিস্তানে অন্তত এক কোটি শিশুর জীবন মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভর ছিল। বর্তমানে দেশটির যে পরিস্থিতি, তাতে দ্রুত সেখানে সহায়তা না পাঠালে কমপক্ষে ১০ লাখ আফগান শিশু অপুষ্টিজনিত কারণে মারা যাবে।’
বিএসডি/এসএফ