নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর গুলশান এলাকায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম ইয়াসমিন আরা আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।
এদিন এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ নির্ধারিত ছিল। তবে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. আলাউদ্দিন তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
সূত্র জানিয়েছে, বসুন্ধরার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিদেশ যাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞার ওপর আগামী ২০ এপ্রিলই শুনানি হবে।
তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে এ নিয়ে পিবিআই ১০ বার সময় নিলো।
গুলশানের বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধারের পর গত বছরের ২৬ এপ্রিল ২১ বছর বয়সী কলেজছাত্রীর বড় বোন বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেছিলেন। এজাহারে আনভীরের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা আবুল হাসান ১৯ জুলাই ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন। ১৮ আগস্ট আদালত চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেন এবং আনভীরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।
এরপর ৬ সেপ্টেম্বর কলেজছাত্রীর বড় বোন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ এনে এই মামলা করেন।
মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ওরফে শাহ আলম এবং আরও ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
এই ৬ জন হলেন, শাহ আলমের স্ত্রী আফরোজা বেগম, আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা সায়েম, মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াশা, সাইফা রহমান মীম, ইব্রাহিম আহমেদ রিপন ও তার স্ত্রী শারমীন।
তাদের মধ্যে পিয়াসা ও মিম গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে জেলহাজতে আছেন এবং আনভীরের স্ত্রী সাবরিনা সায়েম ও ইব্রাহিম আহমেদ রিপন হাইকোর্টের আদেশে জামিনে আছেন।
কিন্তু, আদালতে আত্মসমর্পণের পর আনভীরকে আগাম জামিন দিতে অস্বীকার করেছিলেন হাইকোর্ট।
বিএসডি/ এলএল