দিনাজপুর প্রতিবেদক:
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি নিম্নমুখী থাকলেও কমেছে দাম। বাজারে দেশীয় পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় দাম কমছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এদিকে দাম কমায় স্বস্তি ফিরেছে পাইকার ও ভোক্তাদের মাঝে।
ব্যবসায়ীরা জানান, একদিনের ব্যবধানে পাইকারিতে কেজিতে ২ টাকা করে কমেছে পেঁয়াজের দাম।বর্তমানে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৬ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একদিন আগেও ২৭-২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল।
হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা ইসরাইল হোসেন বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী পেঁয়াজের বাজার। বেশি দামে কিনে লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছিল। এ কারণে আমরা পাইকাররা পণ্যটি কেনা নিয়ে সংশয়ে পড়েছিলাম। এ সময় অনেক পেঁয়াজ কেনা বন্ধ করে দেন। তবে চলতি সপ্তাহ থেকে পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। এতে আমাদের পুঁজি কম লাগছে। কম দামে কেনার ফলে মোকামে কম দামে বিক্রি করতে পারছি, তেমনি ক্রেতারা কম দামে খেতে পারছেন।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম বলেন, চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন থেকেই পেঁয়াজের দাম কমতির দিকে রয়েছে। এর মূল কারণ হলো, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেশীয় পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে।বাজারে এসব পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। মানুষ আমদানীকৃত ভারতীয় পেঁয়াজের পরিবর্তে দেশীয় পেঁয়াজ কিনছেন।
বন্দরসংশ্লিষ্টরা জানান, দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা কম।ফলে বন্দর দিয়ে আমদানি অব্যাহত থাকলেও তা আগের তুলনায় কমেছে। দেশীয় পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বাড়ছে।
আমদানিকারকরা জানান, ২০ ডিসেম্বর থেকে সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে।তবে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানিতে এখনই এর কোনো প্রভাব পড়বে না। অনেক আমদানিকারকদের কাছে এখনো ব্যাপক আইপি রয়েছে। এসব আইপির মাধ্যমে আগামী দু-তিন মাস পর্যন্ত বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি সম্ভব। এতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ার কোনো শঙ্কা নেই।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি কিছুটা কমেছে। আগে বন্দর দিয়ে ১৭-২০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও বর্তমানে তা কমে ১০-১৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।গত মঙ্গলবার বন্দর দিয়ে ১৪টি ট্রাকে ৪১১ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আমদানীকৃত এসব পেঁয়াজ সম্পূর্ণ খালাস করে নিয়েছেন আমদানিকারকরা।
বিএসডি/এসএফ