নিজস্ব প্রতিনিধি:
চলতি আমন মৌসুমে সরকার খোলা বাজার থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে ৩ লাখ মেট্রিক টন ধান ও ৪০ টাকা কেজি দরে ৫ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রোববার (৩১ অক্টোবর) খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সভায় সভাপতিত্ব করেন। একই সঙ্গে ২৮ টাকা কেজি দরে দেড় লাখ টন গম কেনা হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। আগামী ৭ নভেম্বর থেকে আমন ধান ও চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হবে।
গত বছর আমনে ২৬ টাকা কেজি দরে ধান ও ৩৬ টাকা কেজি দরে চাল কিনেছিল সরকার।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চলতি অর্থবছর (২০২১-২২) ৩ লাখ টন আমন ধান, ৫ লাখ টন সিদ্ধ চাল কেনা হবে। এছাড়া আগামী ১ এপ্রিল থেকে দেড় লাখ টন গম কেনারও সিদ্ধান্ত হয়েছে সভায়।
সভাপতির বক্তব্যে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষকের জন্য ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চায় সরকার। পাশাপাশি খাদ্যের নিরাপত্তা মজুতও বাড়াতে চায়। বোরো ধান সংগ্রহে সফল হয়েছে সরকার। আশা করি, সেই ধারাবাহিকতায় আমন সংগ্রহেও সফলতা অর্জন সম্ভব হবে।’
সভায় কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘কৃষি প্রকৃতি ও অঞ্চলনির্ভর। দেশে ধানের পাশাপাশি পেঁয়াজ, রসুনসহ আরও বেশকিছু কৃষিপণ্য দেশে উৎপাদিত হলেও সংরক্ষণের অভাবে কৃষক ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হন। দেশে কৃষিজমির পরিমাণ কমে যাওয়া, শিল্পকারখানা বৃদ্ধি পাওয়া এবং সর্বোপরি নন-হিউম্যান কনজামশন বেড়ে যাওয়ার পরও উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।’
ইতোমধ্যে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জন্য লবণাক্ততা সহিষ্ণু ধানের আবাদ শুরু হয়েছে। ধানের উৎপাদন টেকসই করতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, ‘বাংলাদেশ খাদ্য পণ্যসহ আরও বেশকিছু পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে। মানসম্পন্ন পণ্য উৎপাদন হলে রপ্তানি সম্ভাবনা আরও বাড়বে।’
এছাড়া সভায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান বক্তব্য রাখেন।
সভায় অর্থ মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও সচিব এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মতামত তুলে ধরেন।
বিএসডি / আইকে