সেনা প্রত্যাহার করতে গিয়ে অব্যবস্থাপনার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র লজ্জাজনক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। এমনকি কিছু মার্কিন নাগরিককে আফগানিস্তান থেকে নিরাপদে সরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এ নিয়ে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের তীব্র সমালোচনা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া বক্তৃতায় বাইডেন বলেন, আফগান যুদ্ধ নিয়ে আমেরিকার চার প্রেসিডেন্টকে ঘাটতে হয়েছে। চতুর্থ প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি জনগণকে কথা দিয়েছিলেন, এই যুদ্ধের অবসান ঘটাবেন। যুদ্ধকে প্রলম্বিত না করে তিনি তাঁর কথা রেখেছেন।
শেষ সময় জঙ্গি হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ সেনাসহ দেড় শতাধিক আফগান নাগরিক নিহত হয়। সে কথা উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, প্রচণ্ড চাপ ও ঝুঁকির মধ্যে সেনা প্রত্যাহার করতে হয়েছে। নিহত মার্কিন সেনাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন বাইডেন।
মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমা নিজেই নির্ধারণ করার দায়িত্ব স্বীকার করেন বাইডেন। তবে তিনি বলেন, তাঁর পূর্বসূরি প্রেসিডেন্ট (ডোনাল্ড ট্রাম্প) তালেবানের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন। সেই চুক্তি অনুযায়ী তাঁকে উদ্যোগ নিতে হয়েছে।
জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের আফগান শাখা (আইএস-কে) মার্কিন সেনাদের ওপর হামলার দায় স্বীকার করেছে। এ প্রসঙ্গে বাইডেন বলেন, সময় বদলে গেছে। এখন মাটিতে পা না রেখেও দিগন্তজুড়ে বিরাজমান শক্তি ব্যবহার করে জঙ্গিদের মোকাবিলা করতে সক্ষম আমেরিকা।
আইএস-কের নাম উল্লেখ করে হুঁশিয়ারি দিয়ে বাইডেন বলেন, তাদের সঙ্গে আমেরিকার বোঝাপড়া এখনো শেষ হয়ে যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের শত্রুদের হুঁশিয়ার করে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘আমরা শেষ সীমানা পর্যন্ত তাড়া করব। আমেরিকার জন্য যারা হুমকি, তাদের প্রকৃত মূল্য দিতে হবে।’
সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আমেরিকার প্রতিদ্বন্দ্বী চীন ও রাশিয়া বিভিন্নভাবে শক্তি সঞ্চয় করছে বলে বাইডেন তাঁর বক্তৃতায় উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সাইবার হামলার মতো হুমকি এখন আমেরিকাকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র প্রযুক্তিগত উন্নয়নে অনেক বেশি শক্তিশালী বলে উল্লেখ করেন বাইডেন।
বিএসডি/এএ