রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত ছোটগল্প ‘জীবিত ও মৃতের’ প্রধান চরিত্র কাদম্বিনী দেবীকে মরে প্রমাণ করতে হয়েছিল, তিনি বেঁচে ছিলেন। আর্জেন্টিনার তারকা ফুটবলার ক্রিস্টিয়ান পাভনের বেলায় অবশ্য এত ভয়ংকর কিছু করতে হয়নি। দিব্যি বেঁচে আছেন পাভন। কিন্তু হঠাৎই তাঁর মৃত্যুর খবর ভাইরাল হয়েছে।
পাভন যে মারা যাননি, সেটা সত্যি প্রমাণ করতে একের পর এক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছবি আপলোড করতে হচ্ছে পাভনকে ।
এমনিতেই সময়টা খুব বেশি ভালো যাচ্ছে না বোকা জুনিয়র্সের ফরোয়ার্ডের। গত মার্চে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল পাভনের বিরুদ্ধে। মামলাটা আদালতেও গড়িয়েছিল। এবার তো নিজের মরার খবর নিজেকে শুনতে হচ্ছে!
২০১৮ বিশ্বকাপে লিওনেল মেসির সঙ্গে খেলেছেন আর্জেন্টিনা দলে। ওই সময়ের কোচ হোর্হে সাম্পাওলি তাঁকে নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিতই ছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজের ছন্দটা ধরে রাখতে পারেননি। জাতীয় দল থেকে ছিটকে পড়েন পাভন। বাজে পারফরম্যান্সের কারণে বোকার দল থেকেও বাদ পড়েন। এরপর গত মৌসুমে ধারে খেলেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাব এলএ গ্যালাক্সিতে। এই মৌসুমে অবশ্য আবারও বোকায় ফিরেছেন।
বোকা দলে ফেরা নিয়েই সর্বনাশটা হয়েছে পাভনের। হঠাৎ খবর রটে যায় যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মেক্সিকোতে ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন তিনি। আর পরে সেই খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।
একপর্যায়ে ইনস্টাগ্রামে নিজের ছবি পোস্ট করে বেঁচে থাকার প্রমাণ দিতে হয় পাভনকে। এসব ভুয়া খবরে ত্যক্তবিরক্ত পাভন, ‘ওদের কোনো কাণ্ডজ্ঞান নেই? যাও তোমরা নিজেদের চরকায় তেল দাও। অন্যদের পেছনে লেগো না।’
এমন ভুয়া মৃত্যুর খবরে পাভনের আত্মীয়স্বজন বেশ উদ্বিগ্ন। তাই তো পাভন বলেছেন, ‘আমার জন্য সবাই চিন্তিত। এসব দেখে মোটেও ভালো লাগছে না আমার।’