নিজস্ব প্রতিবেদক
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সংলাপে বিগত বছরগুলোতে আওয়ামী লীগের পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে ‘লন্ড্রেড মানি রিকভারি’ নামে একটা কমিশন করার প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
পার্থ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের গণহত্যা ও গণতন্ত্র হত্যার বাইরে আরেকটা বড় বিষয় ছিল দুর্নীতির টাকা; তাই লন্ড্রেড মানি রিকভারি নামে একটি কমিশন করা হোক। পাচারের মাধ্যমে যে টাকা চলে গেছে, সে টাকাটা যাতে ফেরত আসে।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলেন, ড. ইউনূসের যে প্রোফাইল, উনি যদি সেটা ব্যবহার করেন, তাহলে ইউকে, দুবাই, সিঙ্গাপুর থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশে যে ৩/৪ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে সেই টাকাটা ফেরত আসবে। এই টাকাটা আওয়ামী সরকারের দুর্নীতির টাকা। না হলে এই টাকা আমাদের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হবে। আমি মনে করি এই কমিশন করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন জানিয়ে আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, আওয়ামী লীগসহ ১৪ দল, রাজনৈতিক দল হিসেবে ওনাদের বিরুদ্ধে কেন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? নিষিদ্ধ করতে হবে, নিষিদ্ধ হবে সেটা মুখ্য না, কিন্তু একটা ব্যবস্থা নেওয়াটা খুব জরুরি তাদের বিরুদ্ধে। কোনো রাজনৈতিক দল যদি এভাবে পাবলিকলি গণহত্যাকে সার্পোট করে বা আরও বেশি কঠোর হতে বলে, পুলিশকে বা অন্যান্য বাহিনীকে। আমি মনে করি, রাজনীতিটা নৈতিক জায়গা থেকে করা উচিত।
পার্থ বলেন, আওয়ামী লীগ ৩টি অবৈধ নির্বাচন করেছিল সেই বিষয়ে কোনো স্টেপ নেওয়া যায় কিনা আমরা সেই ব্যাপারে বলেছি।
এক প্রশ্নের জবাবে আন্দালিব রহমান বলেন, শুধু আওয়ামী লীগ কেন যারাই গণহত্যার সঙ্গে ছিল নৈতিক ভাবে তাদেরকে রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া উচিত না। এটি অবশ্যই একটা বিচার কার্যের ব্যাপার। ঐ পর্যন্ত, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে কি হবে না। ঐ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং ১৪ দল যারা আছেন, তাদেরকে সব ধরনের নির্বাচন থেকে দূরে রাখা উচিত।