সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কেউই নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ জিতলে বিএনপি বলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি আবার বিএনপি জিতলে আওয়ামী লীগ বলে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি সব সময় বলে আসছে বাংলাদেশে কেয়ারটেকার সরকারের অধীনেও নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না।
মুজিবুল হক বলেন, গেল ৩০ বছরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিই প্রমাণ করেছে, কেয়ারটেকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একে অপরকে বিশ্বাস করতে হবে এবং সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি একমত না হয়, তাহলে কখনোই বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না।
এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব আরও বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন আইন অনুযায়ী নির্বাচনের সময় প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করবেন। তাঁরা নির্বাচন কমিশনের আদেশ শুনতে বাধ্য। কিন্তু না শুনলে কী হবে, সে বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। আমাদের দাবি ছিল, নির্বাচনকালে কমিশনের কথা কেউ না শুনলে তাঁদের বিরুদ্ধে যেন ব্যবস্থা নিতে পারে, সেই ক্ষমতা দিয়ে একটি আইন করতে হবে। সেই আইন সরকার করেনি। নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দিয়ে একটি আইন করলে যদি কমিশনের সদিচ্ছা থাকে, তাহলে হয়তো সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে। এ ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন দুরূহ বিষয়।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির মহাসচিব বলেন, জাতীয় পার্টি নির্বাচনমুখী দল, নির্বাচনের বাকি আরও দুই বছর। তাই নির্বাচনের আগে আমরা দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেব, আমরা নির্বাচনে যাব কিনা।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের সভাপতিত্বে প্রেসিডিয়ামের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য দেন দলের কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, কাজী ফিরোজ রশিদ, সৈয়দ আবু হোসেন, সালমা ইসলাম, প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. মসিউর রহমান প্রমুখ।
বিএসডি/ এফএস