ইকুয়েডরে পৃথক তিনটি কারাগারে দাঙ্গার ঘটনায় কমপক্ষে ৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আরও ডজনখানেক মানুষ আহত হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গুয়াইয়াকিল, কুয়েনকা এবং লাতাকুনগা কারাগারে বন্দি থাকা প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মধ্যে দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বন্দুক এবং ছুরি হামলায় বন্দিরা নিহত হয়েছেন। ইকুয়েডরের কারা সংস্থার পরিচালক এডমুনডো মনকায়ো বলেন, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের নেতৃত্ব নিয়ে বন্দি শিবিরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
তিনি জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ৬২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, অতিরিক্ত ৮শ পুলিশ কর্মকর্তার সহায়তায় কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে এবং বন্দি শিবির এখন আগের অবস্থায় ফিরে গেছে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সবগুলো কারাগারে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ এগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। সোমবার রাত থেকেই মূলত দাঙ্গা পরিস্থিতি শুরু হয়। মঙ্গবার পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে চলে যায়। প্রথমে বন্দিরা কারাগারের নিরাপত্তারক্ষীদের জিম্মি করে। এরপরেই সংঘর্ষ শুরু হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কারাগার থেকে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স বের হতে দেখা গেছে। কারাগারে দাঙ্গার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বন্দিদের স্বজনরা কারাগারের বাইরে জড়ো হতে শুরু করেন। বন্দিদের সঙ্গে কি ঘটেছে তা জানতে তারা অধীর হয়ে ওঠেন।