আগামীকাল শেষ চারে জার্মানির আলেক্সান্দার জভেরেভের বিপক্ষে খেলবেন জোকোভিচ। টোকিও অলিম্পিকে সোনাজয়ী চতুর্থ বাছাই জভেরেভ কোয়ার্টার ফাইনালে ৭-৬ (৮/৬), ৬-৩, ৬-৪ গেমে হারিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার অবাছাই লয়েড হ্যারিসকে। ছেলেদের অন্য সেমিফাইনালে দ্বিতীয় বাছাই দানিল মেদভেদেভ খেলবেন কানাডার ফেলিক্স অগার-আলিয়াসিমের বিপক্ষে।
র্যাঙ্কিংয়ে বিশ্বসেরা জোকোভিচকে গ্র্যান্ড স্লাম জয়ের রেকর্ড ছাড়াও হাতছানি দিচ্ছে ৫২ বছরের মধ্যে প্রথম পুরুষ খেলোয়াড় হিসেবে বছরের সব কটি গ্র্যান্ড স্লাম জয়। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা জোকোভিচের হাতেই উঠেছে বছরের প্রথম তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ফ্রেঞ্চ ওপেন ও উইম্বলডনে চ্যাম্পিয়ন জোকোভিচের ব্যর্থতা বলতে টোকিও অলিম্পিক। সার্বিয়ান তারকা কোনো পদকই জিততে পারেননি সেখানে।
আমাকে ইতিহাস-টিতিহাস নিয়ে কোনো প্রশ্ন করবেন না। আমি জানি কী বলবেন।
তবে সেই ব্যর্থতা পেছনে ফেলে ফ্ল্যাশিং মিডোতে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে চলেছেন জোকোভিচ। টুর্নামেন্টে সর্বকালের অন্যতম সেরা টেনিস খেলোয়াড়, যা একটু কষ্ট হচ্ছে প্রথম সেটেই। ক্যারিয়ারজুড়েই অবশ্য এই সমস্যার সঙ্গে লড়াই করেই এগিয়ে যাচ্ছেন জোকোভিচ।
বেরেত্তিনিকে হারিয়ে ইতিহাস গড়ার পথে আরেক ধাপ এগোনোর পর কোর্টে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রশ্নকর্তাকে এক প্রশ্নের মাঝপথেই থামিয়ে দেন জোকোভিচ। কী প্রশ্ন হতে যাচ্ছে, সেটি তো জানাই ছিল তাঁর, ‘আমাকে ইতিহাস-টিতিহাস নিয়ে কোনো প্রশ্ন করবেন না। আমি জানি কী বলবেন।’
এ বছর গ্র্যান্ড স্লামে টানা ২৬ ম্যাচ জেতা জোকোভিচ শেষ আটে আজ আনফোর্সড এরর করেছেন ১৭টি। বাকি তিন সেটে সংখ্যাটা মাত্র ১১। ওই তিন সেটে নিজের খেলায় রীতিমতো মুগ্ধ জোকোভিচ, ‘কোনো সন্দেহ নেই, টুর্নামেন্টে আমার সেরা তিন সেট খেললাম আজ।’
শেষ চারে জোকোভিচের প্রতিপক্ষ জভেরেভও আছেন দুর্দান্ত ফর্মে। টানা ১৬টি ম্যাচ জিতেছেন জার্মান তারকা। পরিসংখ্যানটা জানেন জোকোভিচও। তবে এটাকেই অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়েছেন তিনি, ‘আমি রোমাঞ্চিত। চ্যালেঞ্জটা যত বড়, সেটি উতরে যাওয়াটাও তত গর্বের।’