আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বিশ্বের সর্ববৃহৎ মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ায় মসজিদের মাইকে আজান দেওয়া নিয়ে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীর আপত্তির মুখে এ ব্যাপারে আলোচনা করে সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ওলামা পরিষদ।
১৯৭৮ সালে দেশটির ধর্ম মন্ত্রণালয় মসজিদে মাইকে আজান দেওয়ার আইন প্রণয়ন করে ডিক্রি জারি করে। খবর আরব নিউজের।
ইন্দোনেশিয়ান ওলামা কাউন্সিল সম্পতি এক ফতোয়ায় বলেছে, সমাজে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মতামতকে সম্মান জানাতে মসজিদে মাইকে আজান দেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার সময় এসেছে।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ এ মুসলিম দেশটিতে ৬ লাখ ২৫ হাজার মসজিদ আছে। দেশটির ২৭ কোটি জনসংখ্যার ৮০ শতাংশই মুসলিম।
প্রায় সব মসজিদেই মাইকে আজান দেওয়া হয়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে অনেক মসজিদের মাইকেই উচ্চমাত্রার এবং বিরক্তিকর শব্দ হচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ার ওলামা পরিষদের এ আহ্বানকে স্বাগত জানিয়েছেন দেশটির ধর্মমন্ত্রী ইয়াকুত চলিল কৌমাস। মসজিদে মাইক ব্যবহারের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন ওলামারা। যাতে শব্দদূষণ না হয়, এ জন্য মাইকের যথাযথ ব্যবহার করতে হবে।
ওলামা পরিষদের নেতা ও ইন্দোনেশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট মারুফ আমিনের মুখপাত্র মাসদুকি বাইডলবি গণমাধ্যমকে বলেন, অপরিকল্পিতভাবে মাইকের ব্যবহার জনসাধারণের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছেন আলেম সমাজ।
তিনি আরও বলেন, রাজধানী জাকার্তার মতো ইন্দোনেশিয়ার সব এলাকাই এখন ঘনবসতিপূর্ণ। তাই মাইকে সহনীয় মাত্রায় আজান দিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের আগস্টে উত্তর সুমাত্রায় এক বৌদ্ধ নারী স্থানী মসজিদে মাইকে আজান দেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি জানান। এ ঘটনায় তাকে ধর্ম অবমাননাকারী আখ্যায়িত করে দেড় বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে ২০১৯ সালে প্যারোলে মুক্তি পান সেই নারী।