জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে, তা প্রশমনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ আহ্বান জানিয়েছে। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের প্রতি এ আহ্বান জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যত দ্রুত সম্ভব উত্তেজনা প্রশমনের তাগিদ দিয়েছে। খবর বিবিসির।
আল-আকসা প্রাঙ্গণে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি পুলিশের হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানো হয়। গতকাল সোমবার ফিলিস্তিনের হামাসসহ বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী এই হামলা চালায়। এর জবাবে গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই হামলায় কমপক্ষে ২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন ৬৫ জন।
আর ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই বিমান হামলায় নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন হামাসের সদস্য। গাজা থেকে দেড় শ রকেট ছোড়া হয়েছে। এগুলো ‘আয়রন ডোম এরিয়াল ডিফেন্স সিস্টেম’ ব্যবহার করে ঠেকিয়ে দেওয়া হয়েছে। বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, গতকালের এই হামলার পর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে
হামাসের হামলার নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, এই হামলা দ্রুত বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়া দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা হ্রাস করে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এই হামলা প্রসঙ্গে ইসরায়েলের বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, হামাস সীমা অতিক্রম করেছে এবং ইসরায়েল তার শক্তি দিয়ে জবাব দেবে। নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমাদের রাজধানী, আমাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল এবং আমাদের সেনাদের ওপর কোনো হামলা মেনে নেওয়া হবে না। যারা এই ধরনের হামলা চালিয়েছে, তাদের মূল্য দিতে হবে।’
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘর্ষের শুরু চলতি সপ্তাহের শুরুতে। আল-আকসায় পবিত্র জামাআতুল বিদা আদায়কে কেন্দ্র এই সংঘর্ষের সূত্রপাত। বলা হচ্ছে, বিগত কয়েক বছরের মধ্যে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় সংঘর্ষের ঘটনা।
এই সংঘর্ষের পর ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট আজ মঙ্গলবার বলেছে, ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৭০০ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরে এসব সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।