বিনোদন ডেস্ক:
এরই মধ্যে গলুই ঈদুল ফিতরের জন্য ১৫টির মতো হল বুকিং পেয়েছে। এর প্রযোজক খোরশেদ আলম বলেন, ‘আগামী ঈদে বড় ছবিগুলো একটা প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়ে যাবে। কারণ, হলসংখ্যা কম হওয়ার কারণে বুকিংয়ের প্রতিযোগিতায় গিয়ে ছবিগুলোর রেন্টাল কমে যাবে। একটা পর্যায়ে গিয়ে সব ছবির প্রযোজকেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।’
এদিকে ঈদুল ফিতরে সিনেমার চাপ দেখে আপাতত অপারেশন সুন্দরবন, লিডারসহ একাধিক সিনেমা ঈদুল আজহায় মুক্তির পরিকল্পনা করেছেন সংশ্লিষ্টজনেরা। অপারেশন সুন্দরবন সিনেমার পরিচালক দীপঙ্কর দীপন বলেন, ‘অনেকগুলো সিনেমা অনেক আগে থেকেই ঈদে মুক্তির লক্ষ্য নিয়ে এগিয়েছিল। আমার কাছে মনে হয়েছে, তাদের সুযোগ দেওয়া উচিত। হল কম, করোনা—এর মধ্যে সবাই মিলে পাড়াপাড়ি করার কী দরকার। ভালো সিনেমাগুলো সবার দর্শকদের দেখার সুযোগ করে দিতে হবে। মুক্তি নিয়ে কোনো প্রতিযোগিতার মধ্য থাকতে চাই না। এ জন্য এক ঈদ পিছিয়ে দিয়েছি।’
বর্তমানে দেশে সচল রয়েছে ৬০টির মতো সিনেমা হল। ঈদে এর সঙ্গে যোগ হবে আরও ১০০টির মতো হল। এই সংখ্যা ঈদের জন্য অনেক কম। চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির নেতা মিয়া আলাউদ্দীন বলেন, ‘নিয়মে ঈদে একাধিক সিনেমা মুক্তি দিতে বাধা নেই। আবেদন তো সবাই করবেন। অনেকে হল নিয়ে এটা-সেটা বলবেন, দেখা যাবে, ঈদের আগে তাঁরাই অফ হয়ে গেছেন। আগে তো ৭–৮টি ছবি মুক্তি পেত। এখন তো এত ছবি মুক্তির প্রশ্নই আসে না।’ তাহলে সিনেমা মুক্তি পাবে কোন প্রক্রিয়ায়? তিনি বলেন, ‘প্রযোজক ও হলমালিকদের মধ্যে যাঁদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ভালো, তাঁরাই এগিয়ে থাকবেন। আমাদের দেশে এমনটাই হয়।’
প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি নিয়ে আইনগত জটিলতা তৈরি হওয়ার পর দায়িত্বে থাকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব খন্দকার নুরুল হক বলেন, ‘বিষয়টি আমার পর্যবেক্ষণ করছি। তবে প্রতিবার ঈদ সামনে রেখে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এবার করোনার প্রভাবে কী হবে, এখনই বলা যাচ্ছে না। এটা নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সময় হলেই আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’
বিএসডি/ এফএস