নিজস্ব প্রতিবেদক:
আন্তর্জাতিক হোক বা ঘরোয়া, বাংলাদেশে কোনও টুর্নামেন্ট বা সিরিজ শুরুর আগে ঘুরেফিরে আলোচনায় উইকেট থাকবেই। আগামী অক্টোবর মাসের মাঝামাঝিতে শুরু হবে জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) নতুন মৌসুম। আলোচনায় সেই উইকেট। এবার জাতীয় দলের সূচি আর করোনাভাইরাসের কারণে এনসিলের কোন ম্যাচের মিরপুরে হবে না। খেলা হবে কক্সবাজার আর সিলেটে। এজন্য উইকেট নিয়ে আশাবাদী নির্বাচকরা।
সিলেটের এক মাঠে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সিরিজ চললেও বিশ্রামে ছিল অন্য আরেকটি ভেন্যু। কক্সবাজারে তো দীর্ঘদিন খেলা আয়োজন হয় না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন যেমন বলছিলেন, ‘এই কয়েক মাসে উইকেটগুলোও পর্যাপ্ত বিশ্রাম পেয়েছে। আশা করছি এবার এনসিএল খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে।’
দুই শহরে খেলা হওয়ায় এবারও থাকছে না হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতি। করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর চলতি বছরের মার্চে শুরু হয়েছিল এনসিএল। তবে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস স্বস্তি দেয়নি। করোনার প্রকোপে দুই রাউন্ড পরই ‘সাময়িক’ স্থগিত করা হয় এই টুর্নামেন্ট। পরে আর শুরু করা যায়নি। এজন্যই নতুন মৌসুমকে ঘিরে সতর্ক বিসিবি।
বাশার যেমন বললেন, ‘এনসিএল শুরুর পর বন্ধ হয়ে যাওয়ার পেছনে বড় কারণ ছিল ভ্রমণ। আমাদের অনেক ভ্রমণ করতে হয়েছে। আমরা তো চাই হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে যেন খেলতে পারি, সবাই সবার বিভাগে খেলুক। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়েতে আদর্শ পরিস্থিতি হয়। কিন্তু এখনও করোনার সাথে আমাদের লড়াই করতে হচ্ছে। এজন্য ভ্রমণ একটু ঝুঁকিপূর্ণ।’
সঙ্গে যোগ করেন জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ক, ‘গতবার ভ্রমণের কারণেই বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এখন পর্যন্ত যতদূর জানি দুইটি ভেন্যুতে খেলা হবে। একটা কক্সবাজার, একটা সিলেট। চার দল করে ভাগ করে দুইটা গ্রুপ হবে। দুই গ্রুপ দুই পাশে খেলবে। পরিবর্তন হতে পারে, তবে সম্ভাবনা কম।’
এতো আলোচনা যে এনসিএলকে ঘিরে সে এনসিএল কোন প্রক্রিয়ায় শুরু হবে? বাশার জানালেন সবকিছু গুছিয়ে নিতে খানিক সময় লাগছে। ১ তারিখ খেলোয়াড়দের ফিটনেস টেস্টের মধ্য দিয়ে মূল আয়োজন শুরু হবে।
বাশার বলেন, ‘আমরা একটু সময় নিয়েই এনসিএল শুরু করছি। দলগুলোকে যথেষ্ট সময় দেওয়া হচ্ছে। সাধারণত দলগুলো প্রস্তুতির খুব একটা সময় পায় না। এবার প্রায় এক মাস সময় থাকছে। ২০-২২ সদস্যের একেকটি প্রাথমিক দল করে দেওয়া হয়েছে। তাদের এখন ফিটনেস ট্রেনিং চলছে। ১ তারিখ ফিটনেস টেস্ট হবে। আগেরবার অনেকে ফিটনেস টেস্টের আগে প্রস্তুত হওয়ার সুযোগ পায়নি। এবার সেই সুযোগ দেওয়া হয়েছে।’
কত সদস্যের দল রাখা হবে এনসিলের জন্য সেটিও ব্যাখ্যা করলেন বাশার, ‘ফিটনেস টেস্টের পর ১৬ জনের দল করে দেব। সাধারণত ১৪ জনের দল দেই। এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে ২ জন বেশি দিচ্ছি। স্কিল ট্রেনিং ৫ তারিখ থেকে শুরু হবে। প্রস্তুতির জন্য সবাই যথেষ্ট সময় পাচ্ছে।’