জেলা প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজারে নালার ওপর গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন সিটি করপোরেশনের কর্মীরা। হামলার মুখে তারা উচ্ছেদের জন্য নিয়ে যাওয়া বুলডোজার ফেলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শনিবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর চকবাজারের গুলজার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নিয়মিত উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকারী কর্মীরা শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে চকবাজারের গুলজার মোড়ে ফুটপাতের ওপর স্থাপিত দোকানের সাইনবোর্ডসহ বিভিন্ন স্থাপনা ভাঙা শুরু করেন। তখন বিদ্যুতের একটি তার ছিঁড়ে আগুন ধরে যায়।
এতে এলাকায় একদিকে আতঙ্ক ছড়ায়, অন্যদিকে উচ্ছেদে ক্ষতিগ্রস্তরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। তাদের সঙ্গে চসিকের কর্মীদের প্রথমে কথা কাটাকাটি, এরপর শুরু হয় হামলা। একপর্যায়ে চসিকের লোকজন বুলডোজারসহ উচ্ছেদে ব্যবহৃত অন্যান্য সরঞ্জাম ফেলে চলে যেতে বাধ্য হন। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসে আগুন নেভায়।
তবে উচ্ছেদ অভিযানের সময় চসিকের কর্মীদের সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ ছিল না। এতে ক্ষতিগ্রস্তরা সহজেই আতঙ্ক ছড়িয়ে সাধারণ লোকজনকে ক্ষুব্ধ করে তোলেন। এরপর হামলার ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ও চসিকের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান। একপর্যায়ে পুলিশ বিক্ষুব্ধ লোকজনকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেন। চসিকের সরঞ্জামগুলো এরপর নিয়ে যাওয়া হয়।
চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘কিছু লোক চকবাজার গুলজার মোড়ে নালা দখল করে রেঁস্তোরা তৈরি করে। আমরা নালার অস্তিত্ব খুঁজতে গিয়ে দেখি সেটি মার্কেটের ভেতরে। তখন আমাদের লোকজন অবৈধ স্থাপনা ভাঙা শুরু করে। নিয়মিত কাজের অংশ হওয়ায় আমরা পুলিশকে খবর দিইনি, সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেটও ছিল না। তখন দখলদাররা এসে আমাদের কর্মীদের উপর হামলা চালায়। আমরা এ ঘটনায় মামলা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু মেয়র বারণ করেছেন।’
চকবাজার থানার ওসি ফেরদৌস জাহান বলেন, ‘উচ্ছেদ যতই নিয়মিত কাজের অংশ হোক, পুলিশ ছাড়া যাওয়াটা ছিল ভুল। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনি। দুইপক্ষ নিয়ে একটি সমঝোতার চেষ্টা করছি।’
বিএসডি / আইকে