হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সেক্রেটারি মামুনুল হককে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় ২০২০ সালের হামলা-ভাঙচুরের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে নাশকতার মামলা এবং রিসোর্টকাণ্ডে দায়েরকৃত মামলায়ও তাকে আসামি দেখানো হবে।
মামুনুলকে গ্রেপ্তারের পর এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার হারুন উর রশিদ বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাশকতা প্রাণহানি এবং ঢাকার পল্টন থানায় হামলাসহ বেশকিছু নাশকতার ঘটনায় তদন্ত চলার পাশাপাশি মামুনুলের ওপর নজরদারি করা হচ্ছিল। তদন্তে তার সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মাহবুব আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তেজগাঁও বিভাগের সঙ্গে গোয়েন্দা পুলিশ যৌথভাবে নজরদারি করে মামুনুলকে গ্রেপ্তার করেছে। এর পর কোন কোন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে এবং রিমান্ড চাওয়া হবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ডিবির একাধিক সূত্র জানায়, মামুনুলকে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হবে। অন্যদিকে মামুনুল গ্রেপ্তারের পর কেউ উত্তেজনা ছড়ালে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে সতর্ক রয়েছে পুলিশ। এ জন্য মোহাম্মদপুর বারিধারা এবং যাত্রাবাড়ী এলাকায় বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর সাম্প্রতিক সহিংসতা ও রিসোর্টকাণ্ডে রাজধানীর পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দুটি মামলা হয়েছে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে। এছাড়া, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর তাণ্ডবের ঘটনাতেও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।