নিজস্ব প্রতিবেদক,
‘আমার মেয়েকে প্রায় সময় নানাভাবে কুপ্রস্তাব দিতো দেবর আরিফ। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় তাকে সতর্কও করা হয়েছে। আমার ধারণা তাদের পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে এভাবে ঝুলিয়ে রেখেছে। বিকেলে মেয়ের সঙ্গে আমার মুঠোফোনে কথা হয়েছিল। মেয়েকে বেড়াতে আসতে বলেছিলাম। কয়েকদিন পর আসবে বলে জানায়। এরপর রাত হতেই শুনি এ ঘটনা। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনো সমস্যা হলে কথা বলার সময় আমাকে জানাতো।’
এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় লাশ উদ্ধার করা রুমা আক্তারের বাবা জামাল উদ্দিন। এর আগে, শুক্রবার রাতে উপজেলার লালানগর ইউনিয়নের কুরমাইকুল এলাকার নিজ ঘরের একটি কক্ষ থেকে রুমা ও তার স্বামী মো. ইসকান্দরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত ইসকান্দর ওই এলাকার শাহ আলমের ছেলে।
জানা গেছে, দুই বছর আগে সামাজিকভাবে ইসকান্দরের সঙ্গে রুমা আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ১৫ মাস বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে। দীর্ঘদিন কাতারে থাকলেও ১০ আগস্ট দেশে ফেরেন ইসকান্দর।
ইসকান্দরের মা ফিরোজা বেগম বলেন, আমার ছেলে মাত্র তিনদিন আগে দেশে ফিরেছে। সন্ধ্যার দিকে আমি নাতিকে নিয়ে উঠানে খেলছিলাম। পরে ঘরে এসে তাদের কক্ষ বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করি। কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে জানালা খুলে দেখি দুজনই ঝুলছে। পরে এলাকার লোকজন ডেকে দরজা ভেঙে তাদের নামিয়ে ফেলি।
রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি (তদন্ত) খান নুরুল ইসলাম বলেন, একই কক্ষে এক ওড়নায় ঝুলছিলেন দুজন। পরিবারের সদস্যরা দরজা ভেঙে তাদের নামান বলে জেনেছি। খবর পেয়ে লাশ দুটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তদন্ত শেষে জানা যাবে।
বিএসডি/আইপি