ক্রীড়া ডেস্ক,
প্রতিপক্ষের জালে ১২ গোল। বায়ার্ন মিউনিখ যে কী তাণ্ডব চালিয়েছে ম্যাচে তা বলে বোঝানো মুশকিল। ব্রেমারকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলাই খেলল বৈকি! ভাগ্যিস দুই গোলরক্ষক মিলে আটটা সেভ দিয়েছিলেন, নাহলে গোলের সংখ্যাটা আরও বাড়ত বটে। তবে জার্মান কাপের এই ম্যাচে এতগুলো গোল করে ইউরোপেও নিজেদের আগমনী বার্তা দিয়ে রাখল ব্যাভারিয়ানরা।
এরিক ম্যাক্সিম চুপো-মোটিং গেল বুন্ডেসলিগা মৌসুমে গোল করেছিলেন কেবল তিনটি, ব্রেমারের বিপক্ষে ৯০ মিনিট খেলে করলেন তারচেয়ে একটা বেশি! শুরুটাও হলো তাকে দিয়েই। অষ্টম মিনিটে বায়ার্ন পেল তাদের প্রথম গোলটা। সেই যে শুরু, এরপর আর পেছন ফিরে তাকায়নি কোচ জুলিয়ান নাগেলসমানের দল।
এর মিনিট আটেক পর সেই চুপো-মোটিং গড়ে দিলেন আরেকটা গোল, করালেন সতীর্থ জামাল মুসিয়ালাকে দিয়ে। ২৭ মিনিটে ইয়ান-লুকা ওয়ার্ম নিজেদের জালে বল জড়ালেন একবার। ২৮ আর ৩৫ মিনিটে চুপো-মোটিং পেলেন আরও দুটো গোল। আধঘণ্টার একটু বেশি সময়ে পাঁচ গোল হজম করে ব্রেমারের ম্যাচটা যে শেষ হয়ে গেছে, তা বলাই বাহুল্য।
সেই ৫ গোল নিয়ে বিরতিতে যাওয়া বায়ার্ন বিরতি থেকে ফিরেও প্রতিপক্ষের ওপর খুব একটা দয়া দেখায়নি। বরং দ্বিতীয়ার্ধে গোল জড়িয়েছে আরও দুটো বেশি। ৪৭, ৪৮, আর ৬৩ মিনিটে গোল হলো তিনটে। লক্ষ্যভেদ করলেন মালিক তিলমান, জামাল মুসিয়ালা, আর লেরয় সানে।
এর পর থেকে আশি মিনিট পর্যন্ত বায়ার্ন মিউনিখকে থামিয়ে রেখেছিল স্বাগতিকরা। কিন্তু এরপর যেন সেই থামিয়ে রাখাটাকে সুদে আসলে পুষিয়ে নিয়েছে বায়ার্ন। শেষ দশ মিনিটে প্রতিপক্ষের জালে জড়িয়েছে আরও ৪ গোল। মিখাইল, চুপো-মোটিং, বোনা সার আর কোরেন্তিন তোলিসোর গোলে এক ডজন গোল নিয়েই মাঠ ছাড়ে গেলবারের চ্যাম্পিয়নরা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ নির্ধারণ হচ্ছে আজ রাতে। গেলবারের লিগ চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন এবার গ্রুপেই পেয়ে যেতে পারে বার্সেলোনা, পিএসজি, কিংবা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডদের কাউকে। তার আগে এমন জয়ে নিশ্চিতভাবেই ইউরোপেও বায়ার্নের বার্তা চলে গেছে, ‘আমরা আসছি’। এ বার্তা ভয়ঙ্কর বায়ার্নের, প্রতিপক্ষের জন্য শঙ্কার বৈকি!
বিএসডি/এএ