বুলেটিনে জানানো হয়, গত এক সপ্তাহে বাংলাদেশে ২৭ শতাংশের বেশি পরীক্ষা বেড়েছে। সাত দিনে ২ লাখ ৩ হাজার ১২২টি পরীক্ষা হয়েছে। রোগী শনাক্ত হয়েছে ৩৪ হাজার ৪০৫ জন। এর আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সাত দিনে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার রোগী বেশি শনাক্ত হয়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহে ২২৮ শতাংশ রোগী বেড়েছে।
গত এক সপ্তাহে করোনায় সংক্রমিত ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩৭ জন বেশি। শনাক্ত, পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান বলছে, দেশে বেশিসংখ্যক মানুষ করোনায় সংক্রমিত হচ্ছে।
অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, করোনা শনাক্ত বাড়লেও হাসপাতালে করোনা রোগী বাড়েনি। তবে এতে আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে বেশি সংক্রমণ হচ্ছে করোনার অমিক্রন ধরনের। পাশের দেশেও অমিক্রন বেশি ছড়াচ্ছে। সাধারণত কোনো নতুন ভেরিয়েন্ট (ধরন) এলে সেটি পুরোনো ধরনকে প্রতিস্থাপন করে। তবে এখন পর্যন্ত দেশে যে পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে, তাতে করোনার ডেলটার ধরনই বেশি ছড়াচ্ছে। গত বছর করোনার ডেলটা ধরনের তাণ্ডব দেখা গেছে। তাই অসতর্ক হওয়ার সুযোগ নেই।
ঢাকা ও রাঙামাটির পর আরও ১০ জেলাকে করোনা সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ ছাড়া মধ্যম ঝুঁকির তালিকায় রয়েছে ৩২ জেলা। আর এখন পর্যন্ত ঝুঁকিমুক্ত ১৬ জেলা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গত এক সপ্তাহের তথ্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য জানিয়েছে।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার যে বিষয়টি বলা হচ্ছে, তার সঙ্গে বর্তমান যে করোনা ব্যবস্থাপনা, তার প্রত্যক্ষ সম্পর্ক নেই। এটি একেবারেই প্রশাসনিক বিষয়। অধিদপ্তরের কর্মপন্থা ঠিক করার জন্য এই পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়। কোনো জেলাকে নির্দিষ্ট করা হয়নি। জেলায় পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের সংখ্যাকে কেন্দ্র করে সাজানো হয়েছে। এই পরিসংখ্যান কোনো সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরে না।
বিএসডি/ এলএল