খেলাধূলা প্রতিনিধি:
নিষ্প্রান ড্র’তে শেষ হলো পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়ার ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ। টেস্টের পুরো পাঁচদিনের কোন সেশনেই উত্তেজনা দেখা যায়নি। তবে ব্যাটারদের দাপট ছিলো লক্ষনীয়। বিশেষভাবে পাকিস্তানের ব্যাটারদের। দুই ইনিংস মিলিয়ে চারটি সেঞ্চুরি করেছেন পাকিস্তানী ব্যটাররা। পক্ষান্তরে অস্ট্রেলিয়ানদের অর্জন শুন্য। অসিদের দুই ব্যাটার নাভার্স-নাইন্টিতে আউট হয়েছেন।
টেস্টের শেষ দিনেও দুই ব্যাটার ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিক ও ইমাম উল হক সেঞ্চুরি করেছেন। জোড়া সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় ইনিংসে বিনা উইকেটে ২৫২ রান করে পাকিস্তান। এরপরই টেস্টটি ড্র’তে শেষ হয়। শফিক ১৩৬ ও ইমাম ১১১ রানে অপরাজিত ছিলেন। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের পক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন ইমাম ও আজহার আলি।
৪ উইকেটে ৪৭৬ রান নিয়ে পাকিস্তান প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে। জবাবে প্রথম ইনিংসে ৪৫৯ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া।
রাওয়ালপিন্ডিতে চতুর্থ দিন শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ছিল ৭ উইকেটে ৪৪৯। বাকী ৩ উইকেটে আজ পঞ্চম ও শেষ দিনে ১০ রান যোগ করতে সক্ষম হয় সফরকারী অজিরা।
মিচেল স্টার্ক ১২ রান নিয়ে শুরু করে ১৩ রানে থামেন। কামিন্স ৪ রান নিয়ে খেলতে নেমে ৮ রানে আটকে যান। আর শেষ ব্যাটার হিসেবে ৩ রানে আউট হন নাথান লায়ন। কামিন্স ও লায়নকে শিকার করেন পাকিস্তানের স্পিনার নোমান আলি। আর স্টার্ককে শিকার করেন পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি।
পাকিস্তানের নোমান ১০৭ রানে ৬ উইকেট নেন। ৮ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয় ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথমবারের মত পাঁচ বা ততেধিক উইকেট নিলেন নোমান।
প্রথম ইনিংস থেকে ১৭ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে পাকিস্তান। পঞ্চম দিনে দুই ওপেনার ৭৭ ওভার ব্যাট করে ব্যাটিং অনুশীলনটা ভালোভাবেই করে নিয়েছেন। সেই সাথে সেঞ্চুরির স্বাদও নিয়েছেন শফিক-ইমাম।
৩ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পান শফিক। আর ১২ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পান ইমাম। শেষ পর্যন্ত ১৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৪২ বলে ১৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন শফিক। আর ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় ২২৩ বলে ১১১ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হওয়া ইমাম।
আগামী ১২ মার্চ করাচিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর : (টস-পাকিস্তান)
পাকিস্তান : ৪৭৬/৪ ডি ও ২৫২/০, ৭৭ ওভার (শফিক ১৩৬*, ইমাম ১১১)।
অস্ট্রেলিয়া : ৪৫৯/১০, ১৪০.১ ওভার (খাজা ৯৭, লাবুশেন ৯০, নোমান ৬/১০৭)।
ফল : ড্র।
ম্যাচ সেরা : ইমাম উল হক (পাকিস্তান)।
সিরিজ : তিন ম্যাচের সিরিজে ০-০ সমতা।
বিএসডি/ এমআর