আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রতি বছরই আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে বড়দিনের ছুটি কাটাতে এক রাজ্য থেকে অন্যরাজ্যে ছোটেন মার্কিনীরা। এক্ষেত্রে তাদের প্রধান ভরসা বিমান; কিন্তু এবার তাতে বড় ধরনের ছেদ পড়েছে।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ জানিয়েছে, করোনার সবচেয়ে সংক্রামক ধরনের স্বীকৃতি পাওয়া ওমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে বড়দিনের ছুটির তিন শতাধিক অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাতিল করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান তিন বিমান পরিষেবা সংস্থা- ইউনাইটেড, ডেল্টা ও আলাস্কা এয়ারলাইন্স।
শুক্রবার ১৬৯টি ফ্লাইট বাতিল করেছে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স। এক বিবৃতিতে এ সম্পর্কে কোম্পানির কর্তৃপক্ষ বলেছে, ‘চলতি সপ্তাহে পুরো দেশজুড়ে যেভাবে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে ফ্লাইট পরিচালনা অব্যাহত রাখলে আমাদের প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বিমানক্রু এবং সেবাগ্রহীতা যাত্রী উভয়কেই ঝুঁকিতে ফেলা হবে।’
‘এ কারণে বাধ্য হয়ে আমাদেরকে কিছু ফ্লাইট স্থগিত করতে হচ্ছে। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে এই ফ্লাইটগুলো ফের চালু করা হবে। সাময়িক এই অসুবিধার জন্য আমরা সম্মানিত সেবাগ্রহীতাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি।’
ডেল্টা এয়ারলাইন্স বাতিল করেছে ১২৪ টি ফ্লাইট। শুক্রবার এক বিবৃতিতে কোম্পানির পক্ষ থেকে এ সম্পর্কে বলা হয়, ‘দেশজুড়ে ওমিক্রন সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া ও কিছু এলাকায় বৈরী আবহাওয়ার কারণে এসব ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হচ্ছে কর্তৃপক্ষ।’
এবিসি নিউজকে ডেল্টা এয়ারলাইন্সের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বড়দিনের ছুটি উপলক্ষ্যে প্রতিবছরই বিপুল যাত্রীর চাপ থাকে। বিগত বছরগুলোতে আমরা ভালোভাবেই সেই চাপ সামলেছি। কিন্তু এবার যে পরিস্থিতি, তাতে আমরা কোনো ঝুঁকি নিতে চাইছি না।’
দেশটির তৃতীয় বৃহত্তম বিমান পরিষেবা সংস্থা আলাস্কা এয়ারলাইন্সের বাতিল করা ফ্লাইটের সংখ্যা অবশ্য তুলনামূলকভাবে অনেক কম- মাত্র ১০ টি। তবে এই এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যেসব ক্রু করোনা টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন এবং সম্পূর্ণ সুস্থতা বিষয়ক মেডিকেল সনদ নিয়েছেন, কেবল তাদেরকে দিয়েই বড়দিনের ছুটির ফ্লাইট পরিচালনা করবে কোম্পানি। পাশাপাশি যেসব যাত্রী বিমানে উঠবেন- তাদের জন্যও টিকার সনদ সঙ্গে রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান পরিষেবা সংস্থাগুলোর জোট এয়াললাইন্স ফর আমেরিকার (এফোরএ) প্রধান নির্বাহী নিক ক্যালিও এবিসি নিউজকে জানান, ওমিক্রনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান পরিবহন বাণিজ্য বড় ধরনের লোকসানের ঝুঁকিতে আছে।
তিনি বলেন, ‘এই ভাইরাসটির ছড়িয়ে পড়া যদি ঠেকানো না যায়, সেক্ষেত্রে বর্তমান কর্মীবাহিনী নিয়ে অদূর ভবিষ্যতে ব্যবসা পরিচালনা করা কঠিন চ্যালেঞ্জের ব্যাপার হয়ে উঠবে আমাদের জন্য।’
এসএ