কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন আবারও পিছিয়েছেন আদালত। আগামী ১৫ ডিসেম্বর এ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি ও প্রদীপের জামিন আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
সোমবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদের আদালত এ আদেশ দেন। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী মাহমুদুল হক। তিনি বলেন, আজকে কক্সবাজার আদালতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ হত্যা মামলার শুনানি ছিল। এ কারণে ওসি প্রদীপকে চট্টগ্রাম আদালতে আনা যায়নি। তাই আদালত আগামী ১৫ ডিসেম্বর অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য করেছেন। একইসঙ্গে ওইদিন প্রদীপের জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ১৫ ডিসেম্বর আসামির উপস্থিতিতে চার্জ গঠনের শুনানি ও জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে গত ২২ নভেম্বরও অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে দেন আদালত। আসামিপক্ষ আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। গত ২৬ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন। তবে প্রদীপ গ্রেফতারের পরে থেকে পলাতক রয়েছেন তার স্ত্রী চুমকি।
জানা গেছে, চুমকির ৪ কোটি ৮০ লাখ ৬৪ হাজার ৬৫১ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিপরীতে বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ২ কোটি ৪৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৪ টাকার। বাকি সম্পদ অর্থাৎ ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুদক।
পাথরঘাটায় ছয়তলা বাড়ি, ষোলশহরের বাড়ি, ৪৫ ভরি স্বর্ণ, একটি কার ও মাইক্রোবাস, কক্সবাজারের একটি ফ্ল্যাট ও ব্যাংক হিসাবের মালিক প্রদীপের স্ত্রী চুমকি। প্রদীপের ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থে স্ত্রী চুমকি এসব সম্পদ অর্জন করেন বলে দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্তে উঠে এসেছে। এছাড়া চুমকি নিজেকে মাছ ব্যবসায়ী দাবি করলেও তার কোনো অস্তিত্ব পায়নি দুদক।
গত বছরের ৩১ জুলাই টেকনাফের বাহারছড়ায় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় গত বছরের ৬ আগস্ট থেকে কারাগারে আছেন প্রদীপ। অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা নিহত হওয়ার ঘটনায় বোনের করা মামলায় ২৭ জুন অভিযোগ গঠনের মধ্যে বিচার শুরু হয়েছে। যে মামলার আসামি প্রদীপসহ ১৫ জন।
বিএসডি / এলএল