বর্তমান সময় ডেস্ক:
করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে দৈনিক মৃত্যু ও সংক্রমণের আবারও ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। বিশ্বব্যাপী গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে সাত হাজার ৫২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসময়ে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ৫৫৬ জনের।
বৃহস্পতিবার সকালে ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে সর্বশেষ এ তথ্য পাওয়া যায়। এই তথ্যানুসারে আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু এবং সংক্রমণ দুটোই বেড়েছে। আর মহামারি শুরুর পর বিশ্বে মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ৫৪ লাখ ৮২ হাজার ১৮ জনে এবং সংক্রমণ ২৯ কোটি ৮১ লাখ ৩৮ হাজার ৫৩০ জনে।
ওয়ার্ল্ডোমিটারস অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে নতুন করে সাত লাখ চার হাজার ৬৬১ জন সংক্রমিত হয়েছে এবং এক হাজার ৮০২ জন মারা গেছেন।
বারবার রূপবদল হওয়া এবং অতিসংক্রামক ওমিক্রন করোনার সংক্রমণের ঢেউকে এখন তরান্বিত করছে। ওমিক্রনের প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও অস্ট্রেলিয়া এবং ইউরোপের প্রায় প্রত্যেকটি দেশে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। এশিয়াতে ভারতেও নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৯০ হাজার ৯২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এর মধ্যে ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন দুই হাজার ৬৩০ জন। এ সময়ের মধ্যে দেশটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩২৫ জনের। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করছে। হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল করা হচ্ছে। তারপরও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে।
এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেছিলেন, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ও ডেল্টার আঘাতে সংক্রমণের ‘সুনামি’ সৃষ্টি করতে পারে, যা স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর ‘তীব্র চাপ’ তৈরি করবে।
উল্লেখ্য, গত ২৪ নভেম্বর করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়ার কথা জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। প্রাথমিকভাবে নতুন এই ধরনটিকে ‘বি.১.১.৫২৯’ নামে ডাকা হচ্ছিল। পরে ডব্লিউএইচও নতুন এ ধরনের নামকরণ করে ‘ওমিক্রন’ এবং একে ‘উদ্বেগজনক’ ধরন বলে আখ্যায়িত করে।
বিএসডি/ এলএল