নিজস্ব প্রতিনিধি:
করোনার টিকাদান কার্যক্রমকে সরকার চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিরুজিমাথ সামিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে তারা অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার, কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ, মালদ্বীপে বাংলাদেশি শ্রমবাজারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
দেশের মানুষকে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, করোনার টিকাদান কার্যক্রমকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে সরকার। করোনাকালীন অর্থনীতিতে বৈশ্বিক মন্দা বিরাজ করলেও বাংলাদেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় এবং বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের দৈনন্দিন জীবন স্বাভাবিক রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সময়োপযোগী কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন।
হাইকমিশনার শিরুজিমাথ সামির বাংলাদেশের সঙ্গে মালদ্বীপের সুদৃঢ় কূটনৈতিক সুসম্পর্কের ধারাবাহিকতা স্মরণ করে বলেন, বাংলাদেশের মানুষের অতিথিপরায়ণ আচরণ এবং এখানকার নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সত্যি উল্লেখযোগ্য। করোনা মহামারির মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালিত হয়েছে, যা প্রশংসনীয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব আঞ্চলিক অফিসের আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশের প্রার্থীকে সমর্থন প্রদান করায় মালদ্বীপ সরকারকে ধন্যবাদ জানান স্পিকার। তিনি বলেন, পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অগ্রগায়ন ও সুসংহতকরণ সম্ভব। মালদ্বীপের শ্রমবাজারে বাংলাদেশের শ্রমিকরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে।
পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন হাইকমিশনার।
বিএসডি/আইপি