বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। এরই মধ্যে তৃতীয় ঢেউয়ের সতর্কবার্তা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘ডেল্টা প্লাস’ তৃতীয় ঢেউ নিয়ে আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ‘ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট’ হিসেবে পরিচিত। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ইতিমধ্যে বিশ্বের ৮৫টি দেশে ছড়িয়েছে পড়েছে। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি অল্প সময়ের মধ্যে মারাত্মক শারীরিক জটিলতা তৈরির মাধ্যমে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ভারতকে যেভাবে বিধ্বস্ত করেছে, তাতে করোনার এই ধরন বিশ্বে বড় উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
তার ওপর ভারতীয় এই করোনা ভ্যারিয়েন্ট এবার নিজেকে আরো পরিবর্তন করে এবার ‘ডেল্টা প্লাস’ ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে বিশ্বে হাজির হয়েছে। ইতিমধ্যে ২০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন নতুন এই ভ্যারিয়েন্টে। এটি ভবিষ্যতে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ বছরের মার্চে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট প্রথম শনাক্ত হয় ইউরোপে, তবে নতুন এই প্রজাতির তথ্য জনসমক্ষে আনা হয় চলতি মাসের ১৩ তারিখে।
এখন পর্যন্ত ভ্যারিয়েন্টটির বিস্তারিত অনেক কিছুই জানা যায়নি। কিন্তু যে উল্লেখযোগ্য তথ্য পাওয়া গেছে তা হলো, এই নতুন স্ট্রেইনটি মনোকলোনাল অ্যান্টিবডি ককটেল প্রতিরোধী। জাপান, ভারত, সুইজারল্যান্ড, ব্রিটেন, আমেরিকা-সহ মোট ১১টি দেশে পাওয়া গেছে করোনার নতুন ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট। কোভিডের যে টিকাগুলো এখন পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলো এই নতুন ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে কতটা কার্যকর তা নিয়ে গবেষণা চলছে।
ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট থেকে ডেল্টা প্লাস ভ্যারিয়েন্ট জিনগতভাবে কতটা আলাদা সে সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি বিজ্ঞানীরা, তাই নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট সম্পর্কে খুব কম তথ্য রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, উভয় ভ্যারিয়েন্টে একই ধরনের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যার মধ্যে রয়েছে মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা, সর্দি। এর পাশাপাশি জ্বর, ক্লান্তি, শ্বাসকষ্ট, শুকনো কাশি, স্বাদ চলে যাওয়া, গন্ধ চলে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।