যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য ইনডিপেনডেন্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অ্যান শ্রিয়া থাইল্যান্ডের মধ্যাঞ্চলীয় নাখোন পাতোম প্রদেশের শ্যাম ফারান জেলার ওম ওয়াইয়ের প্রাপাক্রন জ্বালানি তেলের ডিপোতে কর্মরত ছিলেন। গত ২৯ নভেম্বর এই ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, জ্বালানি তেলের ডিপোয় থাকা কনটেইনারগুলোতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। ফায়ার সার্ভিসের ৪০টির বেশি ইউনিট আগুন নেভাতে কাজ করছে।
এ সময় ওই ডিপোতে কয়েক হাজার লিটার জ্বালানি তেল মজুত ছিল। এই কারণে আগুন দ্রুত চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের আপ্রাণ চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তাঁরা আগুনের লেলিহান শিখা পাশের আবাসিক এলাকায় পৌঁছার আগেই নিয়ন্ত্রণে আনেন। এই ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও ক্ষয়ক্ষতি হয় ৪ কোটির বেশি থাই বাথ বা প্রায় ১২ লাখ মার্কিন ডলারের।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ডিপোতে সারি সারি কনটেইনারের মাঝে দাঁড়িয়ে রয়েছেন অ্যান শ্রিয়া। এ সময় ৩৮ বছর বয়সী এই নারী লাইটার জ্বালিয়ে কাগজের একটি টুকরায় আগুন দেন। পরে জ্বলন্ত কাগজটি জ্বালানি তেলের কনটেইনারের মধ্যে ছুড়ে ফেলেন। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের শিখা চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
থাইল্যান্ডের পুলিশ জানিয়েছে, অ্যান শ্রিয়া ওই ডিপোয় দীর্ঘ ৯ বছর ধরে কাজ করছিলেন। তবে নিয়োগকর্তা পিপাত আঙ্গপ্রাপাকর্নের রূঢ় আচরণে ভীষণ বিরক্ত ছিলেন তিনি। বসের ওপর রাগ থেকেই অ্যান শ্রিয়া নিজের কর্মস্থলে আগুন দিয়েছেন।
পুলিশের কাছে বলেছেন, বসের ক্রমাগত অভিযোগ ও বকাঝকায় বিরক্ত হয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। তবে অগ্নিকাণ্ডে এত বেশি ক্ষয়ক্ষতি হবে, সেটা তিনি বুঝতেই পারেননি।
তবে শেষ রক্ষা হয়নি। কর্মস্থলে আগুন দিয়ে ক্ষয়ক্ষতি করার দায়ে অ্যান শ্রিয়াকে আটক করে রিমান্ডে নিয়েছে থাই পুলিশ। নিয়োগকর্তা পিপাত আঙ্গপ্রাপাকর্নকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।
বিএসডি/ এলএল