নিজস্ব প্রতিবেদক
মহামারির সংক্রমণ তাণ্ডব রুখতে দেশজুড়ে চলমান কঠোর লকডাউনের মাঝে যারা কর্মস্থলের আশপাশে আছেন তাদের নিয়েই আগামীকাল থেকে কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, ৫ আগস্টের আগে কাজে যোগ দিতে না পারলে তাদের চাকরিতে সমস্যা হবে না। শনিবার (৩১ জুলাই) সকালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার (৩০ জুলাই) বিকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব রেজাউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে রবিবার (১ আগস্ট) থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানায় সরকার।
ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ১ আগস্ট সকাল ৬টা থেকে রপ্তানিমুখী সকল শিল্প ও কল-কারখানা আরোপিত বিধিনিষেধের আওতা বহির্ভূত রাখা হলো।
গত ১৩ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব রেজাউল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ইদের একদিন পর অর্থাৎ ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ১৪ দিনের টানা লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। ইদের পর শুরু হওয়া লকডাউনের মধ্যে ব্যবসায়ীরা কয়েক দফা সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করে রপ্তানিমুখী শিল্প কল-কারাখানাকে লকডাউনের বাইরে রাখার আবেদন জানায়। কিন্তু সরকার বরবরই কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে দিয়েছে।
সার্বিকভাবে লকডাউন পরিস্থিতি মূল্যায়নে গত রবিবার (২৫ জুলাই) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের নেতৃত্বে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকেও ৫ আগস্ট পর্যন্ত লকডাউন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত পুর্নব্যক্ত করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ওই বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, উচ্চ পর্যায়ের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী কর্মকর্তা, পুলিশের আইজিপি, বিজিবির ডিজিসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর-সংস্থার শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সরকারের পক্ষ থেকে বারবার কঠোর অবস্থানের কথা প্রকাশ করলেও শেষ পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের দাবি মেনে নিল সরকার। এর কারণ জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উচ্চ পর্যায়ের একটি সূত্র জানায়, আমদানি-রপ্তানি সংক্রান্ত নানাবিধ যৌক্তিক কারণে এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তবে অন্য ক্ষেত্রে বিধিনিষেধের কঠোরতা বজায় থাকবে।
বিএসডি/এমএম