বর্তমান সময় ডেস্কঃ
নয় মাসের প্রেমের সম্পর্কে ঘর ছেড়ে প্রেমিকের হাতধরে পালিয়ে আসা কলেজ ছাত্রীকে মঙ্গলবার সকালে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। প্রেমিকের সাথে আবেগে ঘর ছাড়লেও বিয়ের কাবিনের টাকা নিয়ে সমস্যা হওয়ায় হুলুস্থুল কান্ড বাঁধে নগরীর বাংলাবাজার এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আরিফা আক্তার নুরজাহান নামের ওই কলেজ ছাত্রী ঢাকার মিরপুর কালশী এলাকার আদর্শ নগরীর বাসিন্দা গোলাম মোস্তফার মেয়ে ও কালশি হারুন মোল্লা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী। বরিশালের মুলাদী উপজেলা সদরের হারুন বেপারীর ছেলে নাহিদের সাথে প্রেমের সম্পর্কে পালিয়ে বিয়ের উদ্দেশ্যে গত ৬ নভেম্বর দুপুরে নগরীর বাংলাবাজার এলাকায় একটি কাজী অফিসে আসে তারা। তবে সেখানে কাবিনের টাকা নিয়ে সমস্যা হওয়ায় দুইজনের মধ্যে বাগ্ববিতন্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
কলেজ ছাত্রী জানায়, নাহিদ বিয়ের কথা বলে তাকে নিয়ে আসলেও পরবর্তীতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বাংলা বাজার এলাকায় তাকে আটকে রাখে। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে উল্টো তাকে নিয়ে পালিয়ে আসার খরচের টাকা দাবী করে। এতে দুইজনের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। হট্টগোলের একপর্যায়ে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে কৌশলে নাহিদ পালিয়ে যায়।
কলেজ ছাত্রী আরও জানায়, নাহিদের সাথে কলেজ থেকেই তার পরিচয়। এরপর গত নয় মাস ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। নাহিদ প্রথমে তাকে নিয়ে মুলাদীতে এসে অবস্থান করে। পরে সোমবার সকালে বিয়ে করার জন্য তারা বাংলাবাজারের একটি কাজী অফিসে আসে। কিন্তু সেখানে নাহিদ নামে মাত্র টাকা কাবিন করে বিয়ে রেজিস্ট্রি করার কথা বলে। এ নিয়ে ঝামেলা বাঁধে নাহিদের সাথে।
মঙ্গলবার সকালে কলেজ ছাত্রীর বাবা গোলাম মোস্তফা বলেন, কোতয়ালী মডেল থানা থেকে পুলিশের ফোন পেয়ে তিনি বরিশাল আসেন। পরবর্তীতে পুলিশ তার কাছে মেয়েকে হস্তান্তর করেছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোতয়ালী মডেল থানার এএসআই মোঃ মামুন জানান, কলেজ ছাত্রীকে তার অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিএসডি/আরপি