আন্তর্জাতিক ডেস্ক,
ন্যাটো ও মার্কিনি সেনাদের চলে যাওয়ার শেষ তারিখ বেঁধে দেয়া হয়েছে ৩১ আগস্ট। এ সময়ের পর কাবুল বিমানবন্দর পরিচালনার দায়িত্ব তুরস্ককে দিতে চাইছে আফগানিস্তান। কিন্তু তুরস্ক বলছে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে, এ অনুরোধ মেনে নেয়া সম্ভব হবে না। দেশটি চায়, পরিচালনার পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বও তাদের দেয়া হোক। রয়টার্স।
অন্যান্য দেশের সেনারা আফগানিস্তানে যুদ্ধের জন্য গেলেও তুরস্কের সেনাসদস্যরা কেবল কাবুলে বিমানবন্দর দেখাশোনার কাজে ন্যস্ত ছিলো। গত ছয় বছর তারা এ দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করেছে।
কিন্তু সম্প্রতি বিদেশি সেনাদের নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাওয়ার যে নির্দেশনা তালেবান দিয়েছে তাতে তুরস্কের জন্য আলাদা কোনো নির্দেশনা ছিলো না। ন্যাটোর হয়ে মোতায়েন তুর্কি সেনাদের বেলায়ও একই নির্দেশনা ছিলো।
এমতাবস্তায় কাবুল বিমানবন্দরের সার্বিক কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে তুরস্ককে বিমানবন্দরটি পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান জানায় তালেবান কর্তৃপক্ষ। রাজি থাকলেও নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়া এ দায়িত্ব নিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছে তুরস্ক। কারিগরি সহায়তার পাশাপাশি বিমানবন্দরটির নিরাপত্তা নিশ্চিতেরও প্রস্তাব আগেই দিয়ে রেখেছিলো আঙ্কারা।
গত বৃহস্পতিবার বিমানবন্দরটির বাহিরে জোড়া বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ অবস্থায় সুরক্ষার বিষয়টি আরো প্রকট আকারে সামনে আসে।
তুরস্কের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এই হামলা তালেবানদের বিমানবন্দর সুরক্ষিত করার সক্ষমতা এবং তুর্কি অপারেশনাল কর্মীদের নিরাপদ রাখার বিষয়টি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই সন্দেহ তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও দায়িত্বশীল একটি কাজ। পরিচালনার পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বও আমাদের দেয়া হোক এবং তুরস্ক এটি করতে সক্ষম। এক্ষেত্রে প্রাক্তন সেনা ও পুলিশ সদস্যদের সমন্বয়ে একটি নিরাপত্তা দল গঠন করা যেতে পারে।
তালেবানের নিরাপত্তায় আমরা কাবুল বিমানবন্দরের পরিচালনার দায়িত্ব নিতে আগ্রহী নই। বৃহস্পতিবারের হামলা দেখিয়ে দিয়েছে আমাদের সিদ্ধান্ত সঠিক, যোগ করেন তিনি।
শুক্রবার দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপও স্পষ্ট করেই বলে দিয়েছেন, উচ্চ ঝুঁকির কারণে তুরস্ক এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। এ বিষয়ে তাড়াহুড়ো করবে না আঙ্কারা।
উল্লেখ্য, ১৫ আগস্ট তালেবান কাবুল দখলে নেয়ার পর আফগানিস্তান থেকে কমপক্ষে প্রায় ১,৪০০ জন বেসামরিক লোকের পাশাপাশি ৩৫০ জন তুর্কি সেনাকে সরিয়ে নিয়েছে তুরস্ক।
বিএসডি/এএ