লাইফস্টাইল ডেস্ক,
বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই মেয়েদের ব্রণের সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। বৃষ্টির স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া মুখে ব্রণ হওয়ার জন্য মোটামুটি আদর্শ পরিবেশ বলা যায়। ব্রণ তো না , এ যেন গোটা গোটা যন্ত্রণা। একটা সেরে ওঠে তো, পাশে আরেকটা। আয়নার সামনে দাঁড়ালে হাত করে নিশপিশ। পুঁজভর্তি পাকা পাকা গোটাগুলো নখ দিয়ে খুঁটতে মন চায়। সাবধান! মনকে আজই প্রবোধ দিন, ভুলেও আর ব্রণ খোঁচাবেন না। এতে জীবাণুর বিস্তারের সঙ্গে প্রদাহও বেড়ে যায়।
শুধু নখ দিয়ে খোঁটা নয়, ব্রণ আঙুলের চাপে ফাটানোর বদভ্যাসও আছে অনেকের। ফাটা ব্রণ থেকে নির্গত রক্ত ও রক্তরস মুখে ক্ষত ও দাগের সৃষ্টি করে। এতে চিরস্থায়ী দাগ বা গর্ত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। কারণ, ত্বকের ওই জায়গায় মেলানিন জমে দাগ হয়ে যায়। আর ব্যাকটেরিয়া ত্বকের গভীরে প্রবেশ করা মাত্র রক্তের শ্বেতকণিকা দ্রুত সেই ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করতে চায়। এতে ত্বকের স্বাভাবিক গঠনতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই কোনো ব্রণ ফেটে গেলে কী করণীয়, জেনে নিন।
যখন তখন হাত দেবেন না
ব্রণ ফেটে যাওয়ার পর অধিকাংশ সময়ই সেখানে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। বার বার হাত দিলে, হাতের নোংরা সেখানে মিশে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে। তাই হাত না ধুয়ে বা বার বার হাত দিতে মানা করা হয়।
ব্রণ ফেটে আওয়ার পর তুলা দিয়ে ভালো করে জায়গাটা পরিষ্কার করে নিতে হবে। ক্লিন্ডামাইসিল জেলের মতো কোনো একটি অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল মলম লাগানোও জরুরি। সারাদিন যদি বাইরে থাকতে হয় তা হলে ধুলা-ময়লার হাত থেকে জায়গাটা বাঁচাতে অল্প করে ভ্যাসলিন লাগিয়ে নিতে পারেন। এতে জায়গাটার উপরে একটি স্তর পড়ে নোংরা আটকে দেবে।
ফোলা ভাব কমাতে যা করবেন
কোনো ব্রণ ফেটে যাওয়ার পরও সেখানে অনেকটা ফুলে থাকে এবং জ্বালা করে। তাই বরফ লাগাতে পারেন জায়গাটায়। তারপর অ্যালোভেরা জেলের মতো কিছু লাগালে জ্বালাভাব অনেকটাই কমে যাবে। রাতে শোওয়ার আগে টি-ট্রি অয়েলও ওখানে লাগিয়ে ঘুমোতে পারেন। টি-ট্রি অয়েল অনেকটা স্পট ট্রিটমেন্টের কাজ করে। এতে দাগ হওয়ার সম্ভাবনা সামান্য কমে। এছাড়া হালকা কোনো অ্যাসিড যেমন গ্লাইকলিক অ্যাসিড লাগাতে পারেন। এতে দাগ অনেকটা হালকা হবে।
ত্বক পরিষ্কার রাখুন
তৈলাক্ত ও ময়লা ত্বক, খাবার ঠিকমতো হজম না হওয়া, ঘুমের সমস্যা এবং হরমোনের কারণে ব্রণের সৃষ্টি হতে পারে। নখ দিয়ে ব্রণ খোঁটার লোভ সংবরণ করা চেয়ে বরং সচেতন হওয়া জরুরি। খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনতে হবে। নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। ঘাম ও ধুলাবালি জমে ত্বকের লোমকূপ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আর লোমকূপের গোড়ায় ময়লা জমে ব্রণের সৃষ্টি হয়। নিয়মিত তাই ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। এছাড়া পানির অভাব পূরণ করতে প্রতিদিন চার লিটার পানি পান করবেন। এভাবে নিয়ম মেনে চললে হবে না ব্রণ, হবে না মুখের ত্বকে কোনো দাগ।
বিএসডি/এএ