বর্তমান সময় ডেস্ক
দেশের সবচেয়ে বেশি চোরাচালানপ্রবণ এলাকা কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) ও সবচেয়ে কম চোরাচালানপ্রবণ এলাকা নেত্রকোনা ব্যাটালিয়ন (৩১ বিজিবি)। এসব এলাকায় চোরাচালান প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখায় বিজিবির ব্যাটালিয়ন প্রধানদের চ্যাম্পিয়ন ট্রফি দেওয়া হয়েছে।
সোমবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পিলখানা সদর দফতরে বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম বিজিবি দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত বিশেষ দরবার শেষে বিজয়ী ব্যাটেলিয়ন প্রধানের হাতে ট্রফি তুলে দেন।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অপারেশনাল কার্যক্রম, চোরাচালান নিরোধ, মাদকদ্রব্য আটকে অসামান্য কৃতিত্ব অর্জনকারীদের গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
চোরাচালান দমনের ক্ষেত্রে ব্যাটেলিয়ন পর্যায়ে অধিক চোরাচালানপ্রবণ এলাকা কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়ন (৪৭ বিজিবি) চ্যাম্পিয়ন ও রামু ব্যাটালিয়ন (৩০ বিজিবি) রানারআপ হয়। কম চোরাচালানপ্রবণ এলাকা হিসেবে নেত্রকোনা ব্যাটালিয়ন (৩১ বিজিবি) চ্যাম্পিয়ন ও রংপুর ব্যাটালিয়ন (৫১ বিজিবি) রানারআপ হয়।
বিজিবিতে গুরুত্বপূর্ণ এবং কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০২১ সালে ৬০ বিজিবি সদস্যকে বিভিন্ন পদকে ভূষিত করা হয়। ১০ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক (বিজিবিএম), ২০ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক ( পিবিজিএম), ১০ জনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ পদক সেবা (বিজিবিএমএস) এবং ২০ জনকে রাষ্ট্রপতি বর্ডার গার্ড পদক সেবা (পিবিজিএমএস) দেওয়া হয়।
বিশেষ অবদানের জন্য ৬১ জনকে মহাপরিচালকের অপারেশনাল প্রশংসা পত্র এবং ১০০ জনকে মহাপরিচালকের প্রশাসনিক প্রশংসাপত্র দেওয়া হয়। সুবেদার মেজর থেকে সহকারী পরিচালক হওয়া ১২ জন এবং সহকারী পরিচালক থেকে উপ-পরিচালক হওয়া একজনকে পদোন্নতির র্যাংক ব্যাজ পরিয়ে দেওয়া হয়।
এসএ