আর্জেন্টিনার বিপক্ষে নিষ্প্রভই হয়ে ছিলেন লুইস সুয়ারেজ। এবারের কোপা আমেরিকায় তাই নিজেদের প্রথম ম্যাচে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার কাছে হারতে হয়েছে তাঁর দলের। আজ চিলির বিপক্ষেও যে খুব একটা আলো ছড়াতে পেরেছেন তা নয়। তবে এবার আর চিলির কাছে তাঁর দলকে হারতে হয়নি। ১-১ গোলের ড্র নিয়ে ম্যাচ শেষ করেছেন লুইস সুয়ারেজরা।
এই ড্রয়ে অবশ্য সুয়ারেজ-কাভানিদের যতটা না অবদান, তার চেয়ে বেশি ‘অবদান’ চিলির আর্তুরো ভিদালের! তাঁর আত্মঘাতী গোলেই যে ম্যাচটি ড্র হয়েছে।
এবারের কোপা আমেরকিায় টানা দ্বিতীয় হার চোখ রাঙাচ্ছিল উরুগুয়েকে। শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলারই চেষ্টা করেছে দক্ষিণ আমেরকিার অন্যতম সেরা দলটি। কিন্তু আক্রমণের এক প্রান্তে লুইস সুয়ারেস এবং আরেক প্রান্তে এদিনসন কাভানি ছিলেন বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো। কাভানি তাও শুরুর দিকে বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছেন, তবে সেই সব সুযোগ তিনি বাতাসে ভাসিয়েছেন!
আক্ষরিক অর্থেই কাভানি প্রথমার্ধে পাওয়া উরুগুয়ের তিনটি সুযোগ বাতাসে ভাসিয়েছেন। ফাঁকায় বল পেয়েও তিনি সেগুলো উড়িয়ে মেরেছেন, চলে গেছে ক্রসবারের ওপর দিয়ে। সেই তুলনায় চিলি খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। তবে দুর্দান্ত এক প্রতি আক্রমণ থেকে ২৬ মিনিটে এগিয়ে যায় তারা।
মাঝমাঠের একটু ওপরে বল পেয়ে উরুগুয়ের রক্ষনে ঢুকে পড়েন ভারগাস। উরুগুয়ের ডি-বক্সের বাইরে ব্রেরেতনের সঙ্গে বল দেওয়া-নেওয়া করে বক্সে ঢুকে পড়েন। এরপর দুর্দান্ত এক কোনাকুনি শটে বল উরুগুয়ের জালে পাঠান ভারগাস।
উরুগুয়ে সমতায় ফেরে ৬৬ মিনিটে। দ্বিতীয়ার্ধে বদলি হিসেবে নামা ফাকুন্দো তোরেসের দূরপাল্লার একটি শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন চিলির গোলকিপার ক্লদিও ব্রাভো। কর্নারটি নেন তোরেসই। সেই কর্নার থেকে ভেসিনোর হেড চলে যায় সুয়ারেজের দিকে। সুয়ারেজকে আটকাতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে থাকা ভিদাল আগেই শট নেন। সেই শট থেকে বল জড়ায় চিলির জালে।
এরপর দুই দলই বেশ কিছু আক্রমণ করে। কিন্তু এলোমেলো সেই আক্রমণকে গোলে রূপ দিতে পারেনি কেউই।