নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রায় ৭০ বছর পর শনিবার ভারতে পা পড়ছে পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগামী প্রাণী চিতাবাঘের। নামিবিয়া থেকে আটটি চিতাবাঘ আনতে প্রাণীটির মুখের আদলে সাজানো বি৭৪৭ জাম্বো জেট পাঠিয়েছে নয়াদিল্লি। চিতাদের রাজকীয় অভ্যর্থনায় সাজসাজ রবের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বন দপ্তরের বাঘ বৃদ্ধির ঘোষণা ভারতের জাতীয় বাঘ সংরক্ষণ কর্তৃপক্ষ এনটিসিএর আনন্দ দ্বিগুণ করেছে।
বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় গন্ডার সংরক্ষণ ও গন্ডার শুমারিসংক্রান্ত পুরোনো আইন প্রত্যাহার বিষয়ে বলতে গিয়ে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, খাদ্যের অভাবে সাম্প্রতিক সময়ে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশ থেকে অনেক বাঘ ভারত অংশে এসেছে। এ সংখ্যা কমবেশি ১২৩। অন্তত ২৭টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার বেড়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরের শুমারিতে এই সংখ্যা ছিল ৯৬।
তিনি বলেন, জঙ্গলে খাবারের টান ধরলেই বাঘ গ্রামে ঢুকে পড়ে। এ জন্য বাঘ নিয়ে মাস্টারপ্ল্যানের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কড়া নির্দেশে নৌকায় করে হরিণ ও শূকর নিয়মিত গভীর জঙ্গলে ছেড়ে আসায় এই সাফল্য।
মন্ত্রীর বক্তব্যের পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ভারতীয় বন কর্মকর্তারা। সুন্দরবনের জ্যেষ্ঠ বন কর্মকর্তা টি নারায়ণ বলেন, মানুষের টেনে দেওয়া আন্তর্জাতিক সীমারেখা প্রাণীদের জন্য কাজ করে না। শিকারের সন্ধান, খাদ্য ও যৌনসঙ্গী আছে কিনা- এসব বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে নিজস্ব সীমানা ঠিক করে এমন প্রাণীদের মধ্যে বাঘ অন্যতম। সঙ্গীর খোঁজে অনেক দূর পর্যন্ত পাড়ি দেয় প্রাণীটি। প্রজনন মৌসুমে সাধারণত দু’দেশের মধ্যে বাঘের ব্যাপক যাতায়াত লক্ষ্য করা যায়। বাঘের প্রজনন মৌসুম নভেম্বর থেকে জানুয়ারি।
মন্ত্রীর বক্তব্যের পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ভারতীয় বন কর্মকর্তারা। সুন্দরবনের জ্যেষ্ঠ বন কর্মকর্তা টি নারায়ণ বলেন, মানুষের টেনে দেওয়া আন্তর্জাতিক সীমারেখা প্রাণীদের জন্য কাজ করে না। শিকারের সন্ধান, খাদ্য ও যৌনসঙ্গী আছে কিনা- এসব বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে নিজস্ব সীমানা ঠিক করে এমন প্রাণীদের মধ্যে বাঘ অন্যতম। সঙ্গীর খোঁজে অনেক দূর পর্যন্ত পাড়ি দেয় প্রাণীটি। প্রজনন মৌসুমে সাধারণত দু’দেশের মধ্যে বাঘের ব্যাপক যাতায়াত লক্ষ্য করা যায়। বাঘের প্রজনন মৌসুম নভেম্বর থেকে জানুয়ারি।
গেল বছর এমন ছয়টি যাতায়াত লক্ষ্য করা গিয়েছিল। প্রজনন মৌসুমের আগেই এত বাঘ চলে আসার পেছনে কারণ হিসেবে তিনি বলেন, তুলনামূলক নিরাপদ আবাসভূমি এবং খাদ্য প্রাচুর্যতার কারণেই বাংলাদেশের বাঘ ভারতের সুন্দরবনে চলে আসছে।
ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর ভিবি মাথুর বলেন, বিগত কয়েক বছর দেশের বন দপ্তর অরণ্য সংরক্ষণের ওপর জোর দিয়েছে। ফলে গত ১৪ বছরে দেশে অভয়ারণ্যের সংখ্যা ২৮ থেকে ৫০ হয়েছে। চার বছর অন্তর ভারতে বাঘ শুমারি হয়। শেষ শুমারিতেই সব থেকে বেশি বেড়েছে বাঘের সংখ্যা। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ছিল ৭৬ ও ৮৮টি। ২০২০-২১- এ সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ৯৬টি। সম্পূর্ণ সুন্দরবনের ৬০ শতাংশ পড়েছে বাংলাদেশে; বাকি ৪০ শতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের আয়তন প্রায় ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার। আর ভারতের অংশের আয়তন প্রায় ৪ হাজার বর্গকিলোমিটার। দুই দেশের বন বিভাগের দাবি, সুন্দরবনে ছেলে বাঘ বা মেয়ে বাঘের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে তাঁদের জানা নেই।
ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর ভিবি মাথুর বলেন, বিগত কয়েক বছর দেশের বন দপ্তর অরণ্য সংরক্ষণের ওপর জোর দিয়েছে। ফলে গত ১৪ বছরে দেশে অভয়ারণ্যের সংখ্যা ২৮ থেকে ৫০ হয়েছে। চার বছর অন্তর ভারতে বাঘ শুমারি হয়। শেষ শুমারিতেই সব থেকে বেশি বেড়েছে বাঘের সংখ্যা। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে ছিল ৭৬ ও ৮৮টি। ২০২০-২১- এ সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ৯৬টি। সম্পূর্ণ সুন্দরবনের ৬০ শতাংশ পড়েছে বাংলাদেশে; বাকি ৪০ শতাংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের আয়তন প্রায় ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার। আর ভারতের অংশের আয়তন প্রায় ৪ হাজার বর্গকিলোমিটার। দুই দেশের বন বিভাগের দাবি, সুন্দরবনে ছেলে বাঘ বা মেয়ে বাঘের সংখ্যা নির্দিষ্ট করে তাঁদের জানা নেই।
তাঁরা জানান, সাধারণত একটি বনে মোট বাঘের সংখ্যার মধ্যে ছেলে বাঘ থাকে এক-চতুর্থাংশ। সবশেষ শুমারি ধরলে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা ১১৪। ফলে এই বনে ৩০টির মতো পুরুষ বাঘ থাকার কথা। ভারতীয় বন বিভাগের ধারণা, বাংলাদেশের বনে অস্বাভাবিকভাবে নারী বাঘের সংখ্যা কমে যাওয়ায় সঙ্গীর খোঁজে ভারতের অংশে আসতে পারে নিঃসঙ্গ পুরুষ বাঘগুলো।
অবশ্য সুন্দরবনের ভারত অংশে খাদ্যের অভাব নেই- মন্ত্রীর এমন বক্তব্য মানতে রাজি নন সুন্দরবন-লাগোয়া ভারতীয় গ্রামগুলোর বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, গেল কয়েক বছরে সুন্দরবন-লাগোয়া গ্রামে নিয়মিত বেড়েছে বাঘের আনাগোনা। বারবার জঙ্গল থেকে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে বাঘ। এতে হতাহত হচ্ছে মানুষ, গৃহপালিত পশু। ডব্লিউডব্লিউএফ সুন্দরবন প্রোগ্রামের কর্মকর্তা অনামিত্র অনুরাগ এ জন্য বাঘের খাদ্যাভাবকে দায়ী করেছেন।
অবশ্য সুন্দরবনের ভারত অংশে খাদ্যের অভাব নেই- মন্ত্রীর এমন বক্তব্য মানতে রাজি নন সুন্দরবন-লাগোয়া ভারতীয় গ্রামগুলোর বাসিন্দারা। তাঁরা বলছেন, গেল কয়েক বছরে সুন্দরবন-লাগোয়া গ্রামে নিয়মিত বেড়েছে বাঘের আনাগোনা। বারবার জঙ্গল থেকে লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে বাঘ। এতে হতাহত হচ্ছে মানুষ, গৃহপালিত পশু। ডব্লিউডব্লিউএফ সুন্দরবন প্রোগ্রামের কর্মকর্তা অনামিত্র অনুরাগ এ জন্য বাঘের খাদ্যাভাবকে দায়ী করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাণিসম্পদ বিভাগের সহকারী কর্মকর্তা শিবাজী ভট্টাচার্য বলেছেন, লোকালয়ে বাঘ নাকি বাঘিনী হাজির হচ্ছে, সেটি আগে দেখতে হবে। প্রজনন সময়ে বাঘ বাঘিনীকে আহ্বান করে। তার প্রস্তাবে রাজি না হলে বাঘকে এলাকা থেকে বের করে দেওয়া হয়। এই স্থানান্তরের সময় গ্রামে ঢুকে পড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। তবে এটা নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি, জঙ্গলে আমাদের অংশে খাদ্য সংকট নেই।