উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার আবেদনের বিষয়ে আজ কোন সিদ্ধান্ত জানানো হবে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। শিগগরিই এ বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে নিজের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় বেগম খালেদা জিয়ার সাজা ও দণ্ডাদেশ স্থগিত করা হয়েছিল। এখানে দুটি নির্দিষ্ট শর্ত দেওয়া ছিল। শর্তগুলি মেনে তারা স্থগিতাদেশ গ্রহণ করেছিলেন এবং খালেদা জিয়াকে মুক্ত করেছিলেন।’
মুক্ত থাকার সময়ে খালেদা জিয়াকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না এই দুই শর্ত তিনি মুক্তি পেয়েছিলেন বলে জানান মন্ত্রী।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে আইমন্ত্রী আরও বলেন, ‘৪০১ ধারার কাজ যখন সম্পন্ন হয়েছে, তখন এটা নির্বাহী আদেশে হয়েছিল। এখন আদালতের কিছু করার নেই। এখন দেখতে হবে ৪০১ ধারায় যখন আমরা কার্যসম্পাদন করে দিয়েছি; সেক্ষেত্রে এ শর্তগুলি শিথিল করার কোন সুযোগ আছে কিনা।’
এর আগে গতকাল বুধবার রাত ১০টার কিছু পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের বাসায় যান খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কেন্দার এবং পরিবারের কয়েকজন সদস্য। তারা উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর আবেদন করেন।
বিষয়টি রাতেই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে যেতে হলে আদালতের অনুমতি লাগবে কিনা আমরা সেসব বিষয় ভাবছি। আইনমন্ত্রীকে জানিয়েছি। তার (খালেদা জিয়ার) পছন্দ অনুযায়ী, চাহিদা অনুযায়ী তিনি যেন চিকিৎসা পান আমরা সে বিষয়টি দেখছি।’
এদিকে বুধবার রাতেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর আবেদনটি পাঠানো হয়েছে। আবেদনটি মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নিজের হাতে পৌঁছালে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন বলে আজ সকালে জানিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন। গত বছরের ২৫ মার্চ ছাড়া পাওয়ার পর তিনি গুলশানে তার বাসায়ই ছিলেন। দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে তিন বছর আগে কারাগারে যাওয়ার পর গত বছর করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটলে সরকার দণ্ডের কার্যকারিতা স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেয়।