নিজস্ব প্রতিবেদক
নোয়াখালীর বাণিজ্যিক এলাকা চৌমুহনীতে খালের ওপর গড়ে তোলা অবৈধ একটি চারতলা ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছেন বেগমগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুর রহমান। শুক্রবার (২৫ জুলাই) দিনব্যাপী এই অভিযান পরিচালিত হয় র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে গঠিত যৌথ বাহিনীর সহযোগিতায়।
জানা গেছে, জলাবদ্ধতা নিরসনে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করে যাচ্ছেন ইউএনও মো. আরিফুর রহমান। বর্তমানে তিনি চৌমুহনী পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্বও পালন করছেন। তার নেতৃত্বে পরিচালিত এই উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে খালের জায়গা পুনরুদ্ধার করা হয়, যা দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালীরা দখল করে ভবন ও দোকানপাট নির্মাণ করে রেখেছিলেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই চৌমুহনী বাজারে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো। এতে ভোগান্তিতে পড়তেন সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের কঠোর এ পদক্ষেপে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন পৌরবাসী। অনেকেই বলছেন, এমন অভিযান নিয়মিত হলে চৌমুহনী আবারও জলাবদ্ধতামুক্ত শহরে রূপ নিতে পারে।
মো. ফারুক নামের স্থানীয় বাসিন্দা ঢাকা পোস্টকে বলেন, খালের ওপর চার তলা ভবন ছিল গলার কাটা। সেখানে আজমীর হোটেলসহ অনেক দোকান-পাট ছিল। যার ফলে পানি নামতো সরুভাবে। খাল থেকে এই চার তলা ভবন উচ্ছেদের ফলে জলাবদ্ধতা কমে আসবে এবং পানি দ্রুত নামবে বলে আমরা আশা করছি। আশাকরি এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উচ্ছেদ অভিযান চলাকালীন নিরাপত্তার স্বার্থে পুরো এলাকা ঘিরে রাখা হয়। ভবিষ্যতে যেকোনো অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইউএনও মো. আরিফুর রহমান।
তিনি বলেন, খাল দখল করে কেউ বাণিজ্য করতে পারবে না। পৌর নাগরিকদের স্বার্থেই আমরা এ অভিযান চালিয়েছি। জলাবদ্ধতা নিরসন ও পরিবেশ রক্ষায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।