লাইফস্টাইল ডেস্ক
গর্ভবতী মায়ের জন্য নয় মাসের যাত্রা থাকে নানা বিস্ময়ে পূর্ণ। পরিবারের জন্য এটি একটি আশীর্বাদ এবং উত্তেজনায় পূর্ণ সময়, যেহেতু তারা নতুন সদস্যকে স্বাগত জানাতে চলেছে। মা হওয়ার এই যাত্রায় নানা সমস্যাও মোকাবিলা করতে হয়। গর্ভবতী মা বিভিন্ন সময়ে অস্বস্তিবোধ করতে পারেন, বিশেষ করে ঘুমের সময়।
একজন হবু মা কোন ভঙ্গিতে ঘুমাচ্ছেন তা অনাগত শিশুর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। ক্রমেই গর্ভ স্ফীত হতে থাকার কারণে গর্ভবতী নারীর জন্য আরামদায়কভাবে ঘুমানো কষ্টসাধ্য হয়ে উঠতে পারে। ঘুমানোর জন্য কোন ভঙ্গিটি আরামদায়ক তা খুঁজে না পেলে দেখা দিতে পারে ঘুমের অভাব। এর ফলে গর্ভবতী মায়ের উচ্চ রক্তচাপসহ নানা জটিলতার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত ঘুম গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। জেনে নিন গর্ভবতী মায়ের জন্য ঘুমের সেরা পজিশনগুলো-
প্রথম ত্রৈমাসিকের সময় গর্ভবতী মা যেভাবে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, সেই পজিশনে ঘুমানো তার জন্য নিরাপদ। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাত হয়ে ঘুমানো গর্ভাবস্থায় ঘুমানোর সেরা পজিশন। কারণ এটি গর্ভবতী মা এবং শিশুর রক্ত সঞ্চালন ভালোভাবে সম্পন্ন হতে সাহায্য করে।
শিশু বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে গর্ভের ভেতরটা তার জন্য কম আরামদায়ক হয়। এই অবস্থায় উপুড় কিংবা চিৎ হয়ে ঘুমালে তা শিশুর জন্য কম নিরাপদ। তাই গর্ভবতী মাকে একপাশে মুখ করে ঘুমানোর অভ্যাস করতে হবে। বাম দিকে ফিরে ঘুমানোও ভালো কারণ এটি রক্ত এবং পুষ্টি বৃদ্ধি করে, যা প্লাসেন্টা এবং অনাগত শিশুর কাছে পৌঁছায়। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং ফোলাভাব প্রতিরোধ করে।
ঘুমকে আরামদায়ক করার জন্য করণীয়
১. পিঠে চাপ কমাতে পায়ের মাঝে বালিশ রেখে পা এবং হাঁটু বাঁকানোর চেষ্টা করতে হবে।
২. পিঠের ব্যথায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিরা স্বস্তির জন্য তাদের পেটের নিচে বালিশ রেখে এই পজিশন ব্যবহার করে দেখুন।
৩. ঘুমের সময় গলা কিংবা বুকে জ্বালাপোড়া অনুভব করলে একটি বালিশের সাহায্যে শরীরের উপরের অংশটি উঁচু করে ঘুমাতে পারেন।
৪. গর্ভাবস্থা তৃতীয় ত্রৈমাসিকের সময় কেউ কেউ শ্বাসকষ্ট অনুভব করতে পারেন। এই অবস্থায় শরীরের উপরের অংশ বালিশের সাহায্যে কিছুটা উঁচু করে ঘুমালে শ্বাসকষ্টের সমস্যা এড়ানো যায়।
উপুড় হয়ে ঘুমানো
গর্ভাবস্থার প্রাথমিক পর্যায়ে উপুড় হয়ে ঘুমানো খুব একটা ক্ষতিকর না হলেও দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ত্রৈমাসিকের সময় এভাবে ঘুমানো একেবারেই ঠিক নয়। কারণ এসময় উপুড় হয়ে ঘুমালে তা গর্ভবতী নারীর প্রসারিত জরায়ুতে অতিরিক্ত চাপ দিতে পারে।
চিৎ হয়ে ঘুমানো
চিৎ হয়ে ঘুমানো গর্ভাবস্থায় নিরাপদ নয়। এটি ক্রমবর্ধমান জরায়ুর জন্যও ক্ষতিকর। এসময় চিৎ হয়ে ঘুমালে ঘুমালে পিঠে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট, বদহজম, অর্শ্বরোগ দেখা দিতে পারে। সেইসঙ্গে কমে যেতে পারে রক্ত সঞ্চালন।
বিএসডি/এএ