নিজস্ব প্রতিবেদক
গাজীপুরের শ্রীপুরে আগুনে পুড়ে যাওয়া বোতাম তৈরির কারখানা থেকে আরও একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনজনে।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সোমবার সকালে কারখানা থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধারের কথা জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে শ্রীপুর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
নিহত তিনজনের মধ্যে একজনের পরিচয় জানিয়েছেন ওসি। তিনি বলেন, আগুনে নিহত তিনজনের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম মজলুম মিয়া। তিনি লালমনিরহাট জেলার বাবলু মিয়ার ছেলে।
এদিকে, রোববার রাতে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন দুইজনের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছিলেন, রোববার রাত পর্যন্ত দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। দুটি মরদেহ আগুনে পুড়ে বিকৃত হয়ে গেছে। তাই মরদেহ দুটির পরিচয় নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ধারণা করছি, প্রথম দিকে যে বিস্ফোরণ হয়েছে তখনই তাদের মৃত্যু হতে পারে।
এর আগে, রোববার দুপুর দেড়টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাংনাহাটি গ্রামের এম এন্ড ইউ ট্রিমস্ লিমিটেড নামের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রোববার দুপুরে হঠাৎ করে কারখানার কেমিক্যাল গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মুহূর্তেই বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ হয়। কারখানার লোকজন আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন। কারখানার আশপাশের বসতবাড়ির লোকজন তাদের আসবাবপত্রসহ ঘরের বিভিন্ন জিনিসপত্র বাইরে নিরাপদ নিয়ে আসতে থাকে। মুহুর্মুহু বিস্ফোরণে আশপাশে প্রকম্পিত হয়ে উঠে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন বলেন, দুপুর ১টার ৪০ মিনিটে শ্রীপুর ফায়ার স্টেশনে প্রথমে আগুনের খবর দেওয়া হয়। ১টা ৫৬ মিনিটে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। যেহেতু কেমিক্যাল ড্রামে বিস্ফোরণের খবর ছিল তাই গাজীপুর চৌরাস্তা মডার্ন ফায়ার স্টেশনের তিনটি, রাজেন্দ্রপুর মডার্ন ফায়ার স্টেশনের দুটিসহ পাঁচটি ইউনিট ডাকা হয়। সবমিলিয়ে মোট সাতটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ শুরু করে। প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখানে প্রচুর কেমিক্যালের ড্রাম ছিল, আগুনের তাপে ড্রম গুলো ফুলে যাচ্ছিল। সেখান থেকে প্রচুর বিস্ফোরণ হচ্ছিল।