বর্তমান সময়
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • অর্থনীতি
  • অপরাধ
    • আইন আদালত
  • খেলাধূলা
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • বিনোদন
    • লাইফস্টাইল
    • পর্যটন
    • যোগাযোগ
  • অন্যান্য
    • সারাবাংলা
    • শিক্ষাঙ্গন
    • আজকের চট্টগ্রাম
    • কৃষি ও পরিবেশ
    • এক্সক্লুসিভ
    • ধর্ম
    • মিডিয়া
    • মুক্তমত
    • রকমারি
    • স্বাস্থ্য
    • সম্পাদকীয়
    • সাক্ষাৎকার
ব্রেকিং নিউজ
বিএনপি গণতান্ত্রিক পথেই এগিয়ে যাবে : আমীর খসরু
পতেঙ্গা সৈকত হবে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র : মেয়র শাহাদাত
আইনি জটিলতায় লন্ডনে সঞ্জয়ের মরদেহ, অপেক্ষায় করিশমা ও সন্তানরা
মোস্তফা মোহসীন মন্টুর মৃত্যুতে এক গভীর শূন্যতার সৃষ্টি হলো :...
ঈদের পরও রেমিট্যান্সে গতি, ১৪ দিনে এলো ১৬৪ কোটি ডলার
‘ছোটখাটো কারণে এখন ডিভোর্স হয়, তারপর মেয়েরা টাকা নিয়ে চলে...
সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর ছাড়ল কক্সবাজার এক্সপ্রেস
সিজারের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে প্রসূতির মৃত্যু, ক্লিনিক সিলগালা
ঈদুল আজহার ছুটিতে ৯৯৯-এ কল সোয়া ২ লাখ, সবচেয়ে বেশি...
রংপুরে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী আটক
বর্তমান সময়
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • অর্থনীতি
  • অপরাধ
    • আইন আদালত
  • খেলাধূলা
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • বিনোদন
    • লাইফস্টাইল
    • পর্যটন
    • যোগাযোগ
  • অন্যান্য
    • সারাবাংলা
    • শিক্ষাঙ্গন
    • আজকের চট্টগ্রাম
    • কৃষি ও পরিবেশ
    • এক্সক্লুসিভ
    • ধর্ম
    • মিডিয়া
    • মুক্তমত
    • রকমারি
    • স্বাস্থ্য
    • সম্পাদকীয়
    • সাক্ষাৎকার
জাতীয়

গুম, নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ছিল র‍্যাব

কর্তৃক news editor জুন ৬, ২০২৫
জুন ৬, ২০২৫ ০ মন্তব্য 21 ভিউজ
নিজস্ব প্রতিবেদক

২০০৪ সালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি আধাসামরিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবে গঠিত হয় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। সন্ত্রাসবাদ, মাদক চোরাচালান ও সংঘবদ্ধ অপরাধ দমনের লক্ষ্যে এ বাহিনী প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রথমদিকে সংস্থাটি অপরাধ দমন ও জননিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও অল্প সময়েই এটি গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতীক হয়ে ওঠে। পরবর্তী সময়ে সরাসরি গুম, হেফাজতে নির্যাতন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে জড়িত হয়ে পড়ে।

গুম বিষয়ক তদন্ত কমিশনের দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গত বুধবার (৪ জুন) ‘আনফোল্ডিং দ্য ট্রুথ: অ্যা স্ট্রাকচারাল ডায়াগনোসিস অব এনফোর্সড ডিজঅ্যাপিয়ারেন্স ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক দ্বিতীয় অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনটি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (৫ জুন) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং প্রতিবেদনের দুটি অধ্যায় প্রকাশ করে।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে র‌্যাবের বিস্তারিত ভূমিকা তুলে ধরে বলা হয়, বর্তমানে র‌্যাবের অধীনে দেশব্যাপী মোট ১৫টি ব্যাটালিয়ন রয়েছে। প্রতিটি ব্যাটালিয়নের অধীনে তিন থেকে চারটি ‘ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি’ (সিপিসি) কাজ করে। বাহিনীটি মহাপরিচালকের নেতৃত্বে ১০টি কার্যকর শাখার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এর মধ্যে অপারেশন, গোয়েন্দা, আইন ও গণমাধ্যম এবং বিমান শাখা অতিরিক্ত মহাপরিচালকের (অপারেশন) অধীন এবং প্রশাসন ও অর্থ, যোগাযোগ ও এমআইএস, তদন্ত ও ফরেনসিক, প্রশিক্ষণ ও অভিযোজন এবং গবেষণা ও উন্নয়ন শাখাগুলো অতিরিক্ত মহাপরিচালকের (প্রশাসন) অধীন কাজ করে।

প্রতিষ্ঠার শুরুর দিকে র‌্যাব অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও অল্প সময়ের মধ্যেই মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ব্যাপকভাবে সমালোচিত হতে থাকে।

তদন্ত কমিশন শত শত অভিযোগ পেয়েছে, যেখানে র‌্যাবের বিরুদ্ধে গুম, হেফাজতে নির্যাতন এবং বিচারবহির্ভূত হত্যার সরাসরি জড়িত থাকার তথ্য রয়েছে।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে, র‌্যাবের হাতে আটক হওয়া অনেক ব্যক্তিকে পরে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে বা এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। এতে বাহিনীটির আইনের শাসন ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধার বিষয়টি নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ তৈরি হয়।

র‌্যাব গঠনের সময় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য বাহিনীটিকে সন্ত্রাসবাদ দমন বাহিনী হিসেবে সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু পরে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনকারী ডেথ স্কোয়াডে পরিণত হয় র‌্যাব। বাহিনীটি শুরু থেকেই ব্যাপক স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করেছে। তবে তাদের কার্যক্রমে পর্যাপ্ত তদারকির অভাব থাকায় নির্যাতনের সুযোগ তৈরি করে দেয়।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে যুক্তরাজ্য প্রায় এক দশক আগে র‌্যাবকে সহায়তা ও প্রশিক্ষণ বন্ধ করে দেয়। যুক্তরাষ্ট্র ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের অভিযোগে র‌্যাব এবং বাহিনীর কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেয়।

র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখা বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের সঙ্গে সমন্বয় করে গোপন অভিযান চালাত। এসব অভিযানে সন্ত্রাসবাদ, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান দমনের নামে বহু অপহরণ ও গোপন স্থাপনায় দীর্ঘদিন ধরে আটকে রাখা হতো।

এই ধরনের অভিযানের জন্য সবচেয়ে সমালোচিত ছিল ‘টাস্ক ফোর্স ফর ইন্টারোগেশন’ বা টিএফআই সেল, যা ঢাকার কুর্মিটোলায় র‌্যাব-১ সদর দপ্তরের ভেতরে অবস্থিত।

যদিও প্রকাশ্যে এটিকে একাধিক সংস্থার যৌথ জিজ্ঞাসাবাদ কেন্দ্র হিসেবে উপস্থাপন করা হতো, বাস্তবে এটি পরিচালিত এবং নিয়ন্ত্রিত হতো র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার সরাসরি তত্ত্বাবধানে।

টিএফআই সেলে হাজার হাজার মানুষকে দিনের পর দিন বা মাসের পর মাস ধরে অন্ধকার কক্ষে চোখ ও হাত বাঁধা অবস্থায় আটকে রাখা হতো। ৩৮টি সাক্ষ্য থেকে জানা যায়, এ কেন্দ্রে বন্দিদের পিটিয়ে, বিদ্যুৎ শক দিয়ে, উল্টে ঝুলিয়ে, মাথা ঘুরিয়ে বা এমনকি শরীরের অঙ্গ ছিঁড়ে নির্যাতন করা হতো। শিশু ও মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিরাও নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পাননি।

যদিও সেলটি পরিচালনায় সেনা সদস্যরাই মূলত নিয়োজিত ছিলেন, তবে পুলিশের সদস্যরাও এসব অভিযানে অংশ নিতেন।

দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে র‌্যাব গোয়েন্দা বা স্থানীয় ব্যাটালিয়নের মাধ্যমে সরাসরি অপহৃত বা ডিজিএফআই-এর হেফাজত থেকে আনা ব্যক্তিদের এ সেলে আনা হতো। অনেক ক্ষেত্রেই তাদের হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হতো, যাতে খোঁজ ও শনাক্তকরণ অসম্ভব হয়ে পড়ে।

কমিশন এখনো প্রায় প্রতিদিনই নির্যাতন কেন্দ্রটি সম্পর্কে নতুন নতুন অভিযোগ পাচ্ছে, যা নির্যাতনের ব্যাপকতা ও ধারাবাহিকতার প্রমাণ দেয়।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর র‌্যাব বাহিনী সেলের প্রকৃত পরিচয় আড়াল করতে সক্রিয় হয়। নির্যাতনের প্রমাণ মুছে ফেলতে সেলগুলোর গঠন বদলে বড় করা হয়, নির্যাতন কক্ষ ভেঙে ফেলা হয়, নজরদারি ক্যামেরা খুলে ফেলা হয় এবং ফরেনসিক প্রমাণ নষ্ট করতে মেঝের টাইলস পর্যন্ত খুঁড়ে ফেলা হয়। এটি ছিল প্রমাণ নষ্ট করার ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ।

র‌্যাবের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ শুধু অপরাধ দমনের বাইরে যাওয়ার নয়, বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হওয়ারও। বিরোধী দল, মানবাধিকারকর্মী ও ভিন্নমতের মানুষদের ওপর দমন-পীড়নে র‌্যাবকে ব্যবহার করা হয়। অনেক ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, র‌্যাব সদস্যরা জানতেন যে তাদের বিচার হবে না। এই দায়মুক্তির সংস্কৃতি তাদের বেপরোয়া করে তোলে বলে অভিযোগ তাদের।

এর ফলে জনমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি ভয় জন্মায়, মানুষ বিচার পাওয়ার আশা হারায় এবং গোটা ব্যবস্থায় জবাবদিহি হীনতার সংস্কৃতি গড়ে ওঠে।

সরকার পরিবর্তনের পরও র‌্যাব নামে বাহিনীটি এখনো টিকে আছে। তবে র‌্যাবের অতীত কার্যক্রম ও জনমনে তৈরি করা ভয় ও অনাস্থা এখনো গণতান্ত্রিক সংস্কারের পথে বড় বাধা হয়ে আছে। কমিশন মনে করে, সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে হলে র‌্যাব বাহিনীটি পুরোপুরি বিলুপ্ত করা দরকার। এটি না হলে দায়মুক্তির চক্র বন্ধ হবে না, জনআস্থা ফিরবে না এবং মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়া সম্ভব হবে না।

০ মন্তব্য
0
FacebookTwitterPinterestLinkedinWhatsappEmail
পূর্ববর্তী পোস্ট
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার এলাকায় যানবাহনের ধীরগতি
পরের পোস্ট
কালুরঘাট সেতুতে দুর্ঘটনা : বরখাস্ত ৪ রেলকর্মী, তদন্ত কমিটি গঠন

সম্পর্কিত পোস্ট

পতেঙ্গা সৈকত হবে আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র :...

জুন ১৫, ২০২৫

সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর ছাড়ল কক্সবাজার এক্সপ্রেস

জুন ১৫, ২০২৫

ঈদুল আজহার ছুটিতে ৯৯৯-এ কল সোয়া ২ লাখ,...

জুন ১৫, ২০২৫

দেশে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসছে নেপাল থেকে

জুন ১৫, ২০২৫

তাপমাত্রা কমবে ২ ডিগ্রি, বৃষ্টি হবে সারাদেশে

জুন ১৫, ২০২৫

আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা ইশরাকের

জুন ১৫, ২০২৫

রেফারির ভূমিকায় থাকবে ইসি : প্রধান নির্বাচন কমিশনার

জুন ১৫, ২০২৫

রাজধানীতে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে দোকান কর্মচারী আহত

জুন ১৫, ২০২৫

উপদেষ্টার স্ত্রী-দুই বোনকে নিয়ে সংবাদ : মন্ত্রণালয় বলল...

জুন ১৪, ২০২৫

হাতিরঝিলের পানি পরিশোধনে পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ রাজউক চেয়ারম্যানের

জুন ১৪, ২০২৫

মতামত দিন উত্তর বাতিল করুন

পরবর্তী বার মন্তব্য করার জন্য এই ব্রাউজারে আমার নাম, ইমেল এবং ওয়েবসাইট সংরক্ষণ করুন।

জনপ্রিয় পোস্ট

  • 1

    মিয়ানমারে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ল

    সেপ্টেম্বর ২, ২০২২
  • ঘুরে আসুন মেঘের রাজ্যে

    সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১
  • নারীর ক্ষমতায়ন ও দরিদ্রতা নিরসনে ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ — আশা

    ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২
  • সুখী হওয়ার সাইকোলজিক্যাল টিপস

    আগস্ট ১৮, ২০২১
  • ঘুরে আসুন রাতারগুলে মিঠাপানির বনাঞ্চল

    সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২১
  • আজই ঘুরে আসুন নিকলী হাওর

    সেপ্টেম্বর ৬, ২০২১
  • করোনা যুদ্ধে পিছিয়ে নেই ঢাবি – সাক্ষাৎকারে উপাচার্য

    আগস্ট ৩, ২০২১
  • 8

    অর্থ না থাকলে শুভাকাঙ্খীরাও পাশে থাকে না

    জুন ২৮, ২০২২

যোগাযোগ করুন

অফিস: ই ২২/৬ পল্টন চায়না টাউন ৬৭/১ নয়া পল্টন,ঢাকা -১০০০
ফোন: +8801675133344, +8801711356270
ওয়েবসাইট: bortamansomoy.com
ইমেইল: bartomansomoy@gmail.com

সম্পাদকদের বাছাই

  • আশার বাতিঘর দেশরত্ন শেখ হাসিনা

  • স্ত্রী ডিভোর্স দিলেই কি দেনমোহর বাতিল হয়ে যায়?

  • পুরাতন দত্তক আইনে অনিরাপদ এতিমদের ভবিষ্যৎ

  • করোনাকালে ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস

ফেসবুকে সকল নিউজ পেতে লাইক করুন

Facebook
  • About Us
  • Contact Us
  • Privacy Policy

© ২০২৩ বর্তমান সময় । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত।

Developed By Deshi Hosting

bn Bengali
bn Bengalien English